তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়কঃ
বিএনপি সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিলো। বর্তমান সরকার গত চার বছরে নির্বাচন করে দেখিয়েছে, শুধু আওয়ামী লীগের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।জনগণের ক্ষমাতায়ন নিশ্চিত হয়। তাই আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলা অযৌক্তিক।বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদে বিধি অনুযায়ী যৌক্তিক ও সত্য তথ্য উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলতি মাসের শেষ দিকে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য পদ্মা সেতুর মূল দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপরই ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। তাছাড়া সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য সেনাবাহিনীর একটি কম্পোজিট ব্রিগেড গঠনের আদেশ দেয়া হয়েছে।কথাগুলি বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু এসব তথ্য উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে।
২৩ জুন সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরব উজ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পা রেখেছে ৬৫ বছরে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে দেশের ইতিহাস নির্মাণকারী ও অন্যতম প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে নতুন মাত্রা যুক্ত করে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
গত ২০ জুন বৃহসপতিবার জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজমুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ। কোরয়ান থেক তেলয়াত পাঠ করেন ধর্ম সম্পাদক কাজি মনিরুল হক। শুরুতে শহীদের প্রতি সম্নান দেখিয়ে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করেন
।আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন, আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকতার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, সিরাজউদ্দিন হোসেন, মুক্তযোদ্ধা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নবী কমান্ডার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও আইরিন পারভিন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, মোজাহিদুল ইসলাম, আবুল হাসিব মামুন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শিরিন আকতার দিবা, এডভোকেট শাহ বখতিয়ার, মাহাবুবুর রহমান টুকু, এম এ করিম জাহাঙ্গির, এডভোকেট আব্দুর রহমান মামুন, শামসুল আবদিন, সোলায়মান আলী, রফিকুল ইসলাম, শাহীন আজমল, নূরে আলম বাবু, আব্দুল হামিদ, আলী হোসেন গজনবী, আস্রাফউদ্দিন, মূলধারার রাজনীতিক খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজউদ্দিন সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, ছাত্রলীগ সভাপতি জেড চৌধুরী জয় এবং সেক্রেটারী জাহাঙ্গির মিয়া প্রমুখ। আরও উপস্হিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আবুল কাশেম, শামছুদ্দিন আজাদ, অর্থ সম্পাদক মনসুর খান, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, জহিরুল ইসলাম, কামরুল হীরা, এ কে আলমগীর, লুতফুর রহমান সুইট, নুজ্জামান সরদার,শাহনেয়াজ মমতাজ. রুমানা আক্তার, বিউটি দরুদ রনেল, সোহাগ, রফিকুর রহমান, প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন’ সাম্প্রতিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ৪ বছরে বাংলাদেশে এত উন্নতি ও অগ্রগতি সত্বেও কেন এমন পরিস্থিতি, কেন এ ব্যর্থতা, কোথায় আমাদের ক্রুটি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক দৃষ্টিতে আমার মনে হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্কের আরো উন্নতি এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে সাংগঠনিক যোগাযোগ আরো সবল করতে হবে।
তাহলে কোন শক্তিই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে আর এভাবে পরাজিত করতে পারবে না। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধির – রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু সর্বসাধারণের মধ্যে তা যথাযথভাবে উপস্থাপনে সক্ষম হচ্ছে না সরকার ও দলীয় লোকজন।
তিনি আরও আমাদের খুশির খবর হল আবাসনের জন্য এপার্টমেন্ট ক্রয় করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী সম্পত্তি হওয়ায় সুলভ মূল্যে মাত্র তিন দশমিক পঁচিশ লাখ ডলারে তিন হাজার তিনশ বর্গফুটের এই এপার্টমেন্ট কেনা সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে সিকি কিলোমিটার দূরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে এই ফ্লাটটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর মিশন প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের সময় প্রথম মিশনের কার্যালয়ের জন্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সন্নিকটে একটি ফ্লোর কেনা হয়। এতে মিশনের অফিস ভাড়া বাবদ মাসে ৩৪ হাজার ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৭ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়। ২০০৯ সালে মিশনের নিজস্ব অফিস কেনার পর গত সাড়ে তিন বছরে এই খাতে বাংলাদেশ সরকারের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। মিশন প্রধানের আবাসিক এপার্টমেন্ট কেনার পর এই খাতে সরকারের বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় এক
Discussion about this post