মোবারক বিশ্বাস বাংলার বার্তা সংবাদদাতাঃ পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র সীমাহীন বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবং সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের বিদ্যুৎ নিয়ে স্বজনপ্রীতিতে তার অপসারণ দাবী করে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সর্বস্তরের মানুষ। পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে টেবুনিয়া গোলচত্বর মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করা হয়। পরে পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করা হয়। এ সময় উভয় দিকে অসংখ্য যানবাহন থমকে যায়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগ নেতা জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, মালিগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, টেবুনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মুন্নু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ সহনীয় না করা হলে ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার সাথে সাথে আগামী সাত দিন একাধারে পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ত অবরোধ দোকান পাট বন্ধসহ আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। বক্তারা আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র জেনারেল ম্যানেজার স্বজনপ্রীতি করে এ অঞ্চলে অসহসনীয় লোড শেডিং দিয়ে তিনি ঈশ্বরদী অঞ্চলকে খুশি করছেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর এলাকা হওয়ায় জিএম স্বজনপ্রীতি এ অঞ্চলের মানুষকে বিদ্যূৎ থেকে বঞ্চিত করছেন। অবিলম্বে এ এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জোর দাবী জানান। বিক্ষোভ চলাকালে আওয়ামীলীগসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নু করার লক্ষ্যে চারদলীয় জোট সমর্থিত লোকজন বিদ্যুৎ সেক্টরে এঁটে বসে বিদ্যুৎ সেক্টরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আতাঁত করে এই অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। তারা অবিলম্বে এই সেক্টরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি দেওয়ার দাবী জানান।
পাবনা ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যুতের জন্য হা-হা-কার; ফুঁসে উঠছে মানুষ
মোবারক বিশ্বাস বাংলার বার্তা সংবাদদাতাঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সর্বত্র এখন বিদ্যুতের জন্য হা-হা-কার চলছে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে এখানে ২০ ঘন্টাই বিদ্যুত থাকছে না । ফলে এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা । কলকারখানায় উৎপাদন মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। অনুষ্ঠিতব্য এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া-লেখা করতে পারছে না । এ ছাড়া বিদ্যুতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম; মানুষ রাতের বেলায় ঘুমোতে পারছে না । বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা প্রচন্ড গরমে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে । এমনিতেই জ্বালানি তেল,রাসায়নিক সার,কৃষি উপকরণের দফায়,দফায় মুল্য বৃদ্ধিসহ নানা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন উপজেলার কৃষকেরা।তারপর মারাত্মক বিদ্যুত বিভ্রাট তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছেন। কৃষক জমিতে ঠিক মতো সেচ দিতে না পারায় অনেক স্থানে ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে বলে কৃষকেরা জানায়। এহেন অবস্থায় নাগরিক সমাজের ব্যানারে উপজেলার কৃষক-শ্রমিক,ব্যবসায়ী,রাজনীতিকসহ দলমত নির্বিশেষে নানা পেশার মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলণে নেমেছে । গত সোমবার তারা পৌর শহরে বিক্ষেভ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।সমাবেশ থেকে তারা বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে কোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করা হচ্ছে। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা অনাকাঙ্খিত ঘটনার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
Discussion about this post