ঢাকা: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামায়াতের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্ব। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব শুরু হয়েছে আমবয়ান। শুক্রবার ফজরের নামাজের পরও চলছে এ বয়ান। বাদ জুমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মুসলমানদের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসমাবেশ।
এরইমধ্যে বিশাল ময়দানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে হয়েছে। দেশি-বিদেশি লাখো লাখো মুসল্লি এজতেমায় জড়ো হচ্ছেন।
দ্বিতীয় বারের মতো দুই পর্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে শুক্র, শনি ও রবিবার। এর আগে প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্র, শনি ও রোববার।
এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিলিয়ে আনুমানিক ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নিবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। এরইমধ্যে কয়েকটি দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি টঙ্গীর ইজতেমা স্থলে এসে পৌঁছেছেন।
ইজতেমা উপলক্ষে এলাকার ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যানজট নিরসনে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। টঙ্গী রেল স্টেশনে তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত টিকেট কাউন্টার। বিশেষ ট্রেনগুলোর জন্য অতিরিক্ত জনবলও আনা হয়েছে।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড সংযোজন ও মাঠে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক সরকারি-বেসরকারি ২২টি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি রোগী পরিবহনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন নিউ মুন্নু মিলের মাঠে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৫০টি সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অগ্নিকা- প্রতিরোধে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসকেও বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোকেও জরুরি প্রয়োজনে সতর্ক করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে টঙ্গী-ঢাকা, টঙ্গী-নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী হয়ে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিরাজগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরবসহ উত্তর বঙ্গের জন্য বিশেষ ট্রেন থাকবে। এছাড়া সড়ক পথে থাকবে ১০০টি বিআরটিসি বাস।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা ময়দানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় উত্তরা, টঙ্গী ও টঙ্গী নতুন গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ৪টি উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কোন কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিকল হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ব্যবস্থায় ৫টি ট্রলি ট্রান্সফরমার দিয়ে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর উপ অধিনায়ক নিশাদুল ইসলাম খান জানান, গত বছরের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবার আরো জোরদার করা হয়েছে।
ময়দান এলাকার মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ময়দানের চতুর্দিকে র্যাবের ৯টি এবং পুলিশের জন্য ৫টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ময়দানের প্রবেশপথগুলোতে ইজতেমা কমিটির নিজস্ব লোকসহ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। মাঠের ভিতরে ও বাইরে পুলিশের টহল দল টহল দিচ্ছে। আছেন সাদা পোশাকধারী পুলিশও।
র্যাবের হেলিকপ্টার টহলসহ পাঁচস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। ইজতেমা এলাকার খাবার দোকানগুলোর ভেজাল রোধে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষে ইজতেমা মাঠে ১৪টি নলকূপের মাধ্যমে প্রতি
Discussion about this post