বাংলার বার্তাঃ কুয়েত থেকে বেলারুশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট’ বেলারুশের দুটি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএস পড়তে গিয়েছেন কুয়েতে থাকা বাংলাদেশী পরিবারের ত্রিশ জন শিক্ষার্থী।
কিন্তু বেলারুশের ভিটেবস্ক স্টেইট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও গোমেল স্টেইট মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে তৃতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত এসব শিক্ষার্থীরা ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” অর্থাৎ যোগ্যতা সার্টিফিকেট বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে নেননি।
যদিও বেলারুশের মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবাসী অভিভাবকরা বলছেন, ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পূর্বে নেয়ার বিষয়টি তাদের জানা ছিলনা।
আর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়ার আশায় কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশী পরিবারের অভিভাবকরা গত দুই বছর আগে তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে এমবিবিএস পড়তে বেলারুশের দুটি মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু সেসব ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএস পড়তে পাঠানো শিক্ষার্থীদের ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা জানাছিল না প্রবাসী এসব অভিভাবকদের।
ফলে বেলারুশের মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা কুয়েত দূতাবাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের কাছে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে যোগাযোগ করে ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” পেতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন প্রবাসী অভিভাবকরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ও দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ বেশ কিছু কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রদান করে থাকে।
দেশের ও দেশের বাইরের মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসকদের ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” বিহীন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আইনে এমবিবিএস ডিগ্রির কোনো স্বীকৃতি নেই।
এমনকি ”এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট” ব্যতীত বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কোনো বৈধতাও নেই। কিন্তু কুয়েত প্রবাসী অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে বেলারুশের মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানোর আগে এবিষয়টি সম্পর্কে জানতেন না, যদিও পরে একসময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) তে যোগাযোগ করে ”ইলিজিবেলিটি সার্টিফিকেট” এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা সেটি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম প্রবাসী অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এটি প্রেরণ করবেন।
পাশাপাশি বেলারুশের মেডিকেলে অধ্যয়নরত ছাত্র- ছাত্রীদের অভিভাবকরাও তাদের দাবির প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন।
Discussion about this post