করোনার প্রাদুর্ভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে। এরই মধ্যে সব চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কুয়েত প্রবাসীরা। চেষ্টা করছেন ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর।
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমেছে ধস। এর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিকূল অবস্থায় ভাগ্য পরিবর্ত করতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। এ যুদ্ধে পিছিয়ে নেই কুয়েতের বাংলাদেশী প্রবাসীরাও।
প্রবাসীরা জানান, মহামারির কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর প্রভাব শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবুও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ঘুরে দাঁড়াতে। টিকে থাকতে কেউ হাইপার মার্কেটের পরিবর্তে খুলছেন রেষ্টুরেন্ট, আবার কেউ ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করছেন।
কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত শহর মাহবুল্লা। শহরটিতে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসার ধরন পাল্টে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখানে অনেক বাংলাদেশি তাই সে দিকটি চিন্তা করে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে ব্যবসার ধরন পাল্টিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেষ্টুরেন্টে ক্রেতাদের চাহিদায় নতুন নতুন রেসিপি তৈরী হচ্ছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শীত মৌসুমে রেষ্টুরেন্টগুলোতে দেশীয় পিঠা পরিবেশন করেন অনেকে। দীর্ঘদিন কুয়েতে অবস্থান করা অনেক প্রবাসী দেশের খাবারসহ পিঠা পুলির স্বাদ নিতে খুজেঁ বেড়ান বাঙ্গলী রেষ্টুরেন্ট। যেখানে পাওয়া যায় দেশীয় পিঠা, দেশীয় মাছসহ বিভিন্ন খাবার সেসব রেষ্টুরেন্টে ভিড় করেন ছুটির দিন গুলিতে।
প্রবাসীরা মনে করেন শিগগিরই বন্ধ হবে ইউক্রেন যুদ্ধ। আবারও জীবনযাত্রা চলবে স্বাভাবিকভাবে। এমন দিনের প্রতীক্ষায় তারা।
Discussion about this post