বাংলা প্রেস, নিউ ইংল্যান্ড থেকে : চট্টগ্রামের মহিলা সাংসদ বেগম চেমন আরা তৈয়ব বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো আছে, চল্লিশ বছরের ইতিহাসে মানুষ আর কখনও এমন ভালো ছিল না। শুধু ভালো নেই একজন তিনি হলেন খালেদা জিয়া। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার ৩১ তম শুভদিন ও সমুদ্র বিজয় উপলক্ষে নিউইংল্যান্ড আ.লীগের উদ্যোগে গত মে ২০ রোববার বোস্টনের ক্যামব্রীজে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নিউইংল্যান্ড আ.লীগের সভাপতি ইউসুফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ক্যামব্রীজের রিঞ্জ এভেন্যুর কমিউনিটির সেন্টারে গত রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের মহিলা সাংসদ (আসন ৩০৯) বেগম চেমন আরা তৈয়ব আরও বলেন, বিএনপি আজ এক ইলিয়াস আলীর জন্য এত মায়া কান্না করছে কেন? বিএনপির আমলে আমার এলাকার অর্থাৎ চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে হত্যা করা হয়েছিল। সে কথা কি তারা ভুলে গেছেন। সেদিন আ.লীগতো বাসে আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ মারেনি। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর জন্য দেশে এত অরাজকতা কেন? সাংসদ চেমন আরা তার দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। বোস্টন প্রবাসী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী তার এলাকার প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তিনি গর্ববোধ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা প্রতিকুলতার মাঝেও সহকর্মি ইকবাল ইউসুফকে সাথে নিয়ে বোস্টনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাল ধরে সঠিকভাবে দলটিকে পরিচালনা করছেন এ জন্য তিনি তাদেরকে এবং নিউ ইংল্যান্ড আ. লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর চট্টগ্রামের জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা দীনা।
নিউইংল্যান্ড আ.লীগের সা. সম্পাদক ইকবাল ইউসুফের পরিচালনায় উক্ত সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি ঘাতকের বুলেটে মা-বাবা, ভাই-ভাবীসহ স্বজন হারানোর শোক-বুকভরা বেদনা ও কান্না নিয়ে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরেছিলেন। তিনি ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ নামের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের ঐক্যের প্রতিক হয়ে সভানেত্রীর আসনে। সে দিনও তুমুল ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাখ লাখ মুজিব অন্তপ্রাণ নেতা-কর্মি অশ্রুসজল নয়নে তাকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছিলেন। সেই সেনা শাসনামলে বিমানবন্দরে নেমেই মুজিবকন্যা গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামের ডাক দেন। গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার নেতৃত্বে গৌরব আর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু ইতিহাসে শেখ হাসিনাকে নতুন করে জায়গা করে দিয়েছে।
বক্তারা সভায় সমুদ্র বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে অভিনন্দন জানান। সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি জামাতের ১৮ দলীয় জোট হরতালের নামে দেশে মানুষ হত্যা, গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও সন্ত্রাস করে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেন এবং দেশের মানুষকে তাদের এ অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিউ ইংল্যান্ড আ. লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বোস্টন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আবু হাসনাত, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উল্ল্যাহ, সাবেক ছাত্রনেতা ও তাজ উদ্দিন গবেষক মুনীর হোসেন, নিউইংল্যান্ড ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির উপদেষ্টা ও লেখিকা নাহিদ সিতারা, নিউ ইংল্যান্ড আ.লীগের সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, সা. সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ মুক্তিযোদ্ধা ও সহ-সভাপতি রাতুল বড়ুয়া, সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজু বড়ুয়া, হাবিবুর রহমান, গোলাম মর্তুজা, নিউ ইংল্যান্ড যুবলীগের আহবায়ক মিন্টু কামরুজ্জামান, নাজমুল ও জেসিবা চৌধুরী প্রমুখ।
Discussion about this post