যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এর মধ্য দিয়ে দিবস এর কার্যক্রম শুরু হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান ও দুতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঔ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ।পরে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী , পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ । ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশের মত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে। দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন আমরা গর্বিত জাতি রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা ফিরে এনেছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছি আমরা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিরা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কর্ম থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং বিদেশে স্থানীয় আইনকানুন মেনে চলার নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে ভাষাশহীদ সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিহত সকল শহিদ এর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করে দোয়া করা হয়।
Discussion about this post