বাংলার বার্তাঃ বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষন কেন্দ্র সাফাত অঞ্চলের উদ্যোগে কুয়েত সিটির কেপিটিসি মসজিদে ৩০শে মার্চ শুক্রবার বাদ আছর এক আলোচনা সভার আয়োজন করে হয়। ১৯৪৭ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন কারী মুক্তি যোদ্ধাদের ভূমিকা ও তাদের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: রমজান আলী ভূইয়া। তিনি আরো বলেন দীর্ঘ নয়টি মাস যুদ্ধ করে অগনিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ নামে ভূখন্ড অর্জন করেছি । পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেলেও স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও ব্যক্তি জীবনে স্বাধীনতা বাংলাদেশের মাণুষকে দিতে পারিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সকলকে ঐক্য হয়ে কাজ করার আহবান জানান। বিশেষ অতিথি সাফাত অঞ্চলের সেক্রেটারী মাওলানা বদরুল ইসলাম তার বক্তব্যে ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা গুরত্ব আলোচনা করতে গিয়ে হযরত ওমর (রা) আমলের একটি উধাহরন তুলে ধরে বলেন সরকারী ভাবে সবাইকে যে কাপর বন্ঠন করা হয়েছে এতে কাহারো লম্বা জামা তৈরী হয় নাই । হযরত ওমর (রা) একদিন মসজিদে লম্বা জামা পরে খূৎবা দিতে দাড়িয়ে ছিলেন। সে সময় এক যুবক দাড়িয়ে । হযরত ওমর (রা) কে প্রশ্ন করলেন এত লম্বা জামা আপনি কোথায় পেলেন। যুবকের প্রশ্ন মতে খলিফা হিসেবে ভাগে বেশী নিয়েছেন নাকি?। তখন তিনি যুবকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টা প্রশ্ন করলেন সঠিক জবাব না দিলে কি করবে?। ঐ যুবক তলোয়ার উচু করে বলল এটা দিয়ে ফয়সালা হবে। তখন হযরত ওমর (রা) আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন আল্লাহ আমাকে সঠিক পথে চলার জন্য পিছনে লোক রেখেছেন। পরে তার ছেলে আবদুল্লাহ বলেন আমার অংশের কাপর টুকু আমার পিতাকে দিয়েছি, সেই কাপরের লম্বা জামা তৈরী করেছে। অন্যান্য বক্তারা স্বাধীনতার বিভিন্ন দিক তুলে ধওে বক্তব্য রাখেন। আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষনা করেন সাফাত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান পরিচালক মুখলেছুর রহমান।
Discussion about this post