কুমিল্লা : পূর্বশত্রুতার জের ধরে কুমিল্লার লালমাইতে মোঃ হানিফ নামের এক কুয়েত প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আটিটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর চাচা মোঃ মনু মিয়া বাদি হয়ে লালমাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আটিটি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে কুয়েত প্রবাসী হানিফের সাথে একই গ্রামের রবিউল হোসেন ওরফে শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ রায়হান ওরফে তারেকের পূর্ববিরোধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে শিশুপুত্র জোনায়েদকে নিয়ে আটিটি বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে আটিটি নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় হানিফের পথ অবরোধ করে দাঁড়ায় রায়হান তারেক। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হানিফের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে রায়হান তারেক। এসময় তার আর্তচিৎকারে স্বজনরা ছুটে আসে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে লালমাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হানিফকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হানিফের চাচা মোঃ মনু মিয়া বলেন, ‘আটিটি গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা রবিউল হোসেন ওরফে শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ রায়হান ওরফে তারেক অত্যন্ত উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তারা আমাদের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। আমরা যতটুকু জানি, নিজ এলাকায় নানা অপকর্মের কারণে সপরিবারে বিতাড়িত হয়ে তারা আমাদের এলাকায় এসে বসবাস করছে। আটিটি গ্রামে মাদকবিক্রেতা হিসেবে রায়হান ওরফে তারেকের কুখ্যাতি রয়েছে। মাদকবিক্রয়ের প্রতিবাদ করার ফলেই আমার ভাতিজা হানিফের সাথে সে শত্রুতা সৃষ্টি করে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রাশেদকেও হত্যার চেষ্টা করে রায়হান তারেক। তার কার্যকলাপে আমরা অতীষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আটিটি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মোঃ আবুল, নুরুল ইসলাম, কোহিনুর বেগম ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযুক্ত রায়হান ওরফে তারেক দীর্ঘদিন এলাকায় মাদকবিক্রয়, ইভটিজিং ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার নির্দীষ্ট কোনো পেশা নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে সে এলাকায় যাবতীয় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।লালমাই প্রতিদিন জনগণের প্রয়োজনে সত্যের সন্ধানে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রায়হান তারেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য নেয়া যায়নি। লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইয়ুব বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এস.আই জীবন রায় চৌধুরীকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Discussion about this post