মোরগের মদের ‘নেশা’। এমন কথা শুনেছেন কখনও। আবার মোরগে যে মদ খেতে পারে, সে কথা ভাবাই তো এক কঠিন বিষয়। সেই মোরগের নেশা ছাড়াতে নাভিশ্বাস উঠছে মালিকের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে। ওই মোরগটিকে কোনো মদ না দিলে মুখে কোনো খাবারই তুলছে না। তাই অনেকটা ঝামেলায় পড়েছেন মোরগের মালিক। মহারাষ্ট্রে ভাণ্ডার জেলার পিপারি গ্রামের এমন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গেছে। জানা গেছে, মোরগের মালিকের নাম ভাউ কাটোরে। পিপারিতে তার একটি মুরগির খামার রয়েছে। সেই খামারেরই একটি মোরগকে নিয়ে এ অবস্থা মালিকের। মোরগের মালিক বলেন, জীবনে কখনও মদ ছুঁয়েও দেখেননি তিনি। এখন তাকেই পোষা মোরগের মদের যোগান দিতে মাসে ২ হাজার টাকা করে গুনতে হচ্ছে। কিন্তু এ ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে, মোরগটির মদ খাওয়ার নেশা ধরল কীভাবে?
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মাঝে মোরগটি কোনো কারণে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় গ্রামের একজন মালিক কাটোরেকে পরামর্শ দেন, খাবারের সঙ্গে অল্প মহুয়া মিশিয়ে দিলে মোরগটি ফের খাওয়া দাওয়া শুরু করবে। সে অনুযায়ী মোরগের খাবারে মহুয়া মেশানো হয়। এরপর থেকে মোরগ আগের মতো খাওয়াদাওয়া শুরু করে। পরে মোরগের খাবারে মহুয়া আর অল্প দেশি মদ মিশিয়ে দিতে থাকেন কাটোরে। এভাবেই চলতে থাকে। কখনও দেশি মদ না মিললে বিদেশি মদও দেওয়া হয় মোরগটিকে।
কিন্তু সমস্যা হলো, একটা সময় খাবারের সঙ্গে মদ খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয় মোরগটির। ফলে শুরু হয় নতুন ঝামেলা। মদ ছাড়া কিছুতেই খাবার মুখে নেয় না মোরগটি। এদিকে প্রতি মাসে মোরগের জন্য মদের যোগান দিতে হাজার হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়েন কাটোরে। বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে তার পোষা মোরগটির মদের নেশা ছাড়াবেন।
মোরগটির মদ খাওয়া ছাড়াতে এক পশু চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন কাটোরে। চিকিৎসক বলেছেন, প্রাণীটিকে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। যেহেতু ওই ট্যাবলেটের গন্ধ অনেকটা মদের মতো। সেই সঙ্গে মদের পরিমাণ অল্প অল্প করে কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভাই কাটোরে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
Discussion about this post