ঢাকা: বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। আর এ বিচার করতে গিয়ে দেশ আজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এটা বানচালের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই আমাদের সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এগিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আসাদের ৪৩তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
‘শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ: বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমী।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, জাতীয় গণঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সংগঠনের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম, মোজাফফর হোসেন পল্টু, লায়ন মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি, নববর্ষসহ বিশেষ দিনগুলোর মতো আসাদ দিবসও পালন করা হয়। কারণ এদিন ছাত্রনেতা আসাদ শহীদ হয়। আসাদের মতো আত্মহুতি ইতিহাসে বিরল, তার নাম কখনও ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমরা এ দিবসকে যত স্মরণ করবো ততই গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীর হয়ে উঠতে পারবো।
রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে বলেন, আসাদ দিবস যেভাবে পালন করার কথা সেভাবে পালন করা হয় না। কারণ বর্তমান প্রজন্ম তার বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানে না। আসাদের জীবনদান ইতিহাসে মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এসে এ দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শুরু করেছিল। সে সময় তারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।’
মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু আমাদের উচিত জনগণকে সঙ্হে নিয়ে সতর্ক হয়ে তাদের প্রতিহত করা।’
Discussion about this post