জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টিকার একটি বড় চালান আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, এই টিকা প্রদানে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আপনাদের একটি সুসংবাদ দিতে চাই যে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমরা বড় অ্যামাউন্টের টিকা পেতে যাচ্ছি।’ তবে কোন দেশ থেকে কোন টিকা আসছে, কী পরিমাণ আসছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে মর্ডানার টিকার ২৫ লাখ ডোজ বাংলাদেশ দ্রুতই পাবে। এরপর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এক টুইটে একই কথা জানান। মহাপরিচালক না বললেও এটিই সেই চালান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে নতুন করে আসা টিকা বিতরণের বিষয়ে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া জটিল রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের টিকা না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকা নিয়ে রাজনীতি চলছে। আমরাও সেই ভূ-রাজনীতির শিকার। ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘অনেকে বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু উনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হতে দেননি। উনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষকে আমি গিনিপিগ হতে দেব না। এতে অনেকে অখুশি।’
মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, একটা টিকা তৈরি হতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। সেখানে এত দ্রুত একটি টিকা তৈরি হচ্ছে, সেটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তারা টিকা তৈরি করুক, ট্রায়াল করুক। এরপর ঘোষণা দিক- সেটি নিরাপদ। তখন আমরা কিনে নেব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০২০’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post