ভালোবাসার মানুষের হাত ধরার আকুলতা চিরন্তন। শুধু কি রোমান্টিক কারণে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের হাত ধরেন, নাকি এর সঙ্গে যোগাযোগ আছে শরীরেরও? এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা। এতে দেখা গেছে, প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের হাত ধরলে স্নায়ুর গতিবিধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বেশ কয়েক জন প্রেমিক-প্রেমিকা এবং দম্পতিকে নিয়ে এই গবেষণাটি চালিয়েছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এজন্য প্রথমে একা ঘরে বসিয়ে তাদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরীক্ষা করা হয়েছে। তার পরে দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দুটি ক্ষেত্রে তরঙ্গের গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, দু’জনকে যখন একসঙ্গে বসানো হয়েছে এবং পরস্পরের হাত ধরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তখন তাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গের ধরন ক্রমশ এক রকম হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুঃখের মতো অনুভূতিগুলি দু’জনের ক্ষেত্রেই আস্তে আস্তে কমে আসছে।
মনোবিদদের ভাষায়,‘স্পর্শ বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে’। নতুন এই গবেষণা তাদের এই বক্তব্যকে আরও জোরালো করেছে। পাশাপাশি প্রেম বা ভালবাসার মতো অনুভূতিগুলির পিছনে মস্তিষ্কের গতিবিধি ঠিক কেমন, সেটা বুঝতে কিছুটা সাহায্য করেছে এই গবেষণা।
Discussion about this post