তৈয়বুর রহমান টনি নিউইয়র্কঃ-
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতা উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতি আঞ্চলিক শক্তিশালী দেশগুলো বিশেষ করে ভারত দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। প্রতিবেদনে বিগত সরকার আমলে সন্ত্রাসের হুমকি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়েছে।
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে নাগরিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করছে। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০১২’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে এসব কথা বলা হয়েছে। ২৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটির ১৩২ ও ১৩৩ পৃষ্ঠায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনের বিষয়টি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ‘পারস্পরিক আইনি সহায়তা’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যা সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে। এ ছাড়া, অপরাধের তদন্তের তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমনে শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেয়া উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ ধর্মীয় নেতাদের উগ্র বাণীর বিরুদ্ধে এক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের প্রতিবেদনে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় বাংলাদেশের একটি সংগঠনের নাম রয়েছে, তা হলো হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী-হুজি। ২০১২ সালের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতারা কারাগারে থাকলেও গোপনে হুজির সদস্য সংগ্রহ চলছে এবং এই ক্ষেত্রে নারী অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post