কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জামায়াত শিবির তান্ডব চালিয়ে পুলিশের এক এস.আই সহ ৪ জন পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮শ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। গতকাল শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা এলাকা শিবির কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সাব্বির হোসেন (১৮) নামের এক শিবির কর্মীকে আটক করে কসবা থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে। পুলিশ বলছেন; সাব্বির হোসেন ওই মামলার এজাহারভ’ক্ত আসামী। এ দিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াত শিবিরের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া পিস্তলটি বৃহস্পতিবার রাতে কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ীর কদমতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরদিকের আহত পুলিশ কনষ্টেবল হেলাল মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে; যুদ্ধাপরাধীর মামলায় দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাসির রায়ের খবর পেয়ে জামায়াত শিবিরের লোকজন কসবা পৌর এলাকার কদমতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। কর্তব্যরত পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে গেলে জামায়ত শিবিরের সাথে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে পুলিশ পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে জামায়ত শিবিরের লোকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিলবোর্ডসহ আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর করে । এ সময় কসবা শহরের ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার বলেন; জামায়াত শিবিরে হামলায় একজন এস.আইসহ ৪ জন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দাযের করেছে। পুলিশের খোয়া যাওয়া পিস্তলটি আড়াইবাড়ি কদমতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
Discussion about this post