পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়েত প্রবাসীরা। কুয়েত স্থানীয় আইনে পাসপোর্টে এক বছরের কম মেয়াদ থাকলে আকামা (রেসিডেন্সি) লাগানো যায় না। প্রতি বছর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে দুই–তিন বছর একসাথে আকামা নবায়ন করে থাকেন। বর্তমানে পাসপোর্টে পাঁচ বছর মেয়াদ একটি বড় ঝামেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুয়েত প্রবাসীরা বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানান অতি সত্বর পাসপোর্টের মেয়াদ দশ বছর করার। এতে প্রবাসীরা একদিকে ভোগান্তিতে থেকে রেহাই পাবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও কিছুটা লাভবান হবেন। কারণ যেখানে ৯.৫০০ কুয়েতি দিনার দিয়ে সাধারণ সময়ে পাসপোর্ট নিতে পারতেন সময়ের ফেরে পড়ে ৩০.২৫০ কুয়েতি দিনার ফি দিয়ে জরুরি সময়ের জন্য পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নিতে চাইলেও এক মাসের আগে পাওয়া যায় না। এর কারণ বাংলাদেশ থেকে তৈরি হয়ে আসতে এই সময়ের প্রয়োজন হয় বলে জানান দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে না পেয়ে স্থানীয় আইনে আকামা শেষ হয়ে গেলে নবায়ন করতে না পেরে একদিকে জারিমানা দিচ্ছেন অনেক প্রবাসী। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত-এর কাউন্সিলর এস এম মাহবুবুল আলম জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে দশ বছর করার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। হয়তো শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় আইনে পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছরের নিচে হলে আকামা না লাগার কারণে অনেকের পাসপোর্ট দেড় থেকে দুই বছর অযথা বাতিল হচ্ছে। কারণ সময় মিলাতে গিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন পাসপোর্ট বানাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে কুয়েত প্রবাসীদের দাবি, অতি জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্টের মেয়াদ যেন দশ বছর করা হয়, যাতে কুয়েত প্রবাসীরা আর্থিক ও মানসিক হয়রানি থেকে মুক্ত হতে পারেন।
Discussion about this post