বাংলার বার্তার বিশেষ রিপোর্ট:কুয়েতে প্রত্যেকটি কাজের বৈধতা থাকা আবশ্যক। অন্যথায় স্থানীয় আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এখানে সকল প্রকার হকারি, অথবা যত্রতত্র ব্যবসা খোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। হকারী ব্যবসার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধ ভাবে আইন মেনে যে কোন ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে উম্মুক্ত। শুধু প্রয়োজন একজন স্থানীয় নাগরিকের সহয়তা (লাইসেন্স) যা অর্থের বিনিময়ে ভাড়ায় নিতে পারেন যে কেউ। দেশের নাগরিক ও কুয়েতে অবস্থিত সবার সার্বিক সুবিধা দিতে প্রশাসনের সকল সেক্টরে রয়েছে বিশেষ টিম, তারা পণ্যের গুনগত মান, সঠিক মূল্য, মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক তেমন পণ্য বিক্রয় হচ্ছে কিনা অথবা অবৈধ কোন পণ্য বাজারজাত হচ্ছে কিনা এর প্রতিনিয়ত নজরদারি করছেন। বলা যায় সম্পূর্ণ কুয়েত স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে সার্বক্ষনিক। কঠোর আইন থাকার পরও কতিপয় প্রবাসীরা অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কর্ম করে থাকে আইন অমান্য করে। এর কারন হতে পারে কেউ নিরোপায় হয়ে করে আবার কেউ অধিক আয়ের আশায় করে থাকে। কিছু প্রবাসী সঠিক কাগজ পত্র না থাকার পরও বিভিন্ন কর্মের পাশাপাশি ব্যবসাও করছেন। স্থানীয় আইনে অবৈধ তারা নির্ধিদায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্য বিহীন ব্যবসা। স্থানীয় সরকারের প্রত্যেটি আইন অমান্যকারীর জন্যে রয়েছে কঠোর আইন, অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন কিছুটার ছাড় দিলেও প্রায় সময় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে উৎক্ষাত করে দেন সকল অবৈধ কাজ। দৌড় ঝাপের মধ্যদিয়েই অনেকে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যান তাদের কর্ম।
এতে তাদের (অবৈধ কর্মে সথে জড়িত) তেমন কোন সমস্যা না হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হন সাধারণ প্রবাসীরা। যেমনটা হয়েছিলো বছর খানেক পূর্বে দেশে মাল পাঠানোর নামে কুয়েতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে ওঠা কার্গো ব্যবসায়ীদের ক্ষপ্পরে পরে। হাজার হাজার প্রবাসীর কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে ক্রয়কৃত মূল্যবান পণ্য হোম ডেলিবারির কথা বলে এক সময়কার নাম করা ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন উধাও। অনেকে আবার দিয়েছেন গাঁ ঢাকা। এসব ব্যবসায়ীদের ধারা ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের হা হুতাশ এখনো চলছে কার কাছে চাইবে বিচার। তেমনি আরেকটি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন কিছু প্রবাসী। আর এই ক্ষতির কাতারে থাকবেন যারা দেশে যাওয়ার আশায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা হৃদয় আকৃষ্ট করা বাংলা লেখার বিভিন্ন বোর্ড লাগানো ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকেট কিনে। একটু সময় বাঁচানোর চেষ্টা, হয়তবা কিছুটা কম মূল্যের লোভে অনেকেই দেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের টিকেট কিনে থাকেন। এরই মধ্যে বেনামে গড়ে ওঠা অবৈধ্য ভাবে কিছূ টাভেল এজেন্সি দেউলিয়া হবার খবর পাওয়া গেছে। তারা গ্রাহকের ক্রয়কৃত টিকেটের টাকা নিয়ে উধাও। বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকায় ভুক্তভোগিরা কোন আইনি প্রতিকার ও গ্রহন করতে পারবেন না। সময় থাকতে সবাই সাবধান হোন।
যারা এরই মধ্যে বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের টিকেট কিনেছেন তারা ঐ কোম্পানির ওয়েব সাইটে গিয়ে নেটের মাধ্যমে চেক করতে পারেন অথবা কোন এয়ার লাইন্সের টিকেট কিনেছেন সেই কোম্পানির হেড অফিসে যোগাযোগ করে ক্রয়কৃত টিকেট সঠিক কিনা নিশ্চিত হওয়ার মত দেন অনেকে। মুলত কুয়েতে কোন প্রকার ট্রাভেল এজেন্সির প্রত্যেকটি লাইসেন্সের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন স্থানের অনুমতি সহ বড় একটি এমাউন্ট ডিপোজিট রাখতে হয় । বর্তমানে হাসাবিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে এই ব্যবসা করছে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আকৃষ্ট করতে বাংলায় ব্যানার লিখে থাকেন। কুয়েতে শুধু ব্যবসা নয় যে কোন প্রকার ব্যানার অথবা বিল বোর্ড এর জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং এর জন্য বছরে একটি ফি দিতে হয়।
প্রতিবেদক:
লেখক ও সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন।
Discussion about this post