নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি সরিষাবাড়ি উপজেলায় ২০১১-১২ অর্থ বছরে টিআর-কাবিখা ও এলজিএসপি প্রকল্পের কয়েক কোটি টাকার লোপাট করেছে স্থানীয় এমপি সমর্থিত আ.লীগ নেতা-কর্মীরা। চলতি অর্থ বছরে ২৪৩ টি প্রকল্পের বিপরীতে ৯৪৬ মে.টন চাল এবং এলজিএসপি প্রকল্পের প্রায় সিংহভাগই ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে এই উপজেলায় টিআর-কাবিখা ও এলজিএসপি প্রকল্পের ২০ ভাগ কাজও হয়নি।
সরিষাবাড়ি উপজেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যলয় সূত্রে জানা যায় ২০১১-১২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার( কাবিখা,সাধারণ) কর্মসূচির আওতায় ২৫ প্রকল্পে বিপরীতে ২১৯ মে.টন, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি( স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দ) ২৩ প্রকল্পের বিপরীতে ২৫০ মে.টন, কাবিখা সাধারণ (দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মসূচির আওতায় ২০ প্রকল্পের বিপরীতে ১৭৭ মে.টন এবং টিআর এর ১৭৫ প্রকল্পের বিপরীতে ৩০০ মে.টন চাল মিলিয়ে মোট ৯৪৬ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ- মন্দির, কবরস্থান-শ্বশান ঘাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়া হলেও সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই জানেননা এই বরাদ্দের কথা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টিআরের ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঘরে বসে কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে টিআর-কাবিখার চাল উত্তোলন করে আতœসাত করেছেন আ.লীগ নেতারা। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় পিংনা ঘোনাপাড়া হায়দরের বাড়ি থেকে সামাদ গামার বাড়ি ভায়া খেয়াঘাট হয়ে মাছহাটি পর্যন্ত রাস্তার কাজের জন্য ৩০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত এই রাস্তায় কোন কাজই হয়নি। রাস্তায় এক কেজি মাটি না ফেলে,এক টাকাও খরচ না করে পুরোটা আতœসাত করা হয়েছে। পোগলদিগা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া দেওবাড়ি থেকে বড়বাড়ি মসজিদের সামনে দিয়ে পূর্বপাড়া চাঁন বেপারীরর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পূননির্মানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১২ মে.টন চাল। এই গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া, সোহরাব মিয়াসহ আরো বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান,এই রাস্তায় কোন সংস্কার কাজ হয়নি। একইভাবে পিংনা এনামুল কবির দাখিল মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ৪ টন, রাধানগর মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ৪ টন, রাধানগর ঈদ গাঁ মাঠ উন্নয়নের জন্য ২ টন, ডোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৪ টন, বিলবালিয়া মহিলা দাখির মাদরাসা উন্নয়নের জন্য ২ টন, সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য ৪ টন টিআর-এর চাল বিতরণ করা হলেও এসব প্রকল্পে কোন কাজ হয়নি। নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়া হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান জানেইনা তাদের নামে চাল বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বরাদ্দের সমুদয়চাল তুলে নিয়েছে আ.লীগ নামধারী নেতারা। এমনকি অনেক ভূয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়েও টিআর-কাবিখার চাল আতœসাত করা হয়েছে।
টিআর-কাবিখার চাল ও এলজিএসপির টাকা লোপাটের বিষয়টি সরিষাবাড়িতে সব মহল জানলেও স্থানীয় সরকার দলীয় এমপি ডা: মুরাদ হাসান তার একমাত্র সহযোগি ভাইজান নামে পরিচিত আবুল হোসেনের ও তার ক্যাড়ার বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহসী হয়না। টিআর-কাবিখার নামে যা কিছু হয়েছে সব কিছু এমপির লোকজন করেছে খোদ সরকার দলীয় নেতাদেরই এমন অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল বা টাকার অর্ধে অগ্রিম দিতে হয় এমপি সাহেবকে না হলে বরাদ্দ মিলবে না। অভিযোগ রয়েছে এই টাকা দিতে হয় বড় ভাইয়ের (আবুল হোসেনের) মাধ্যমে।।এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় এমপি ডা: মুরাদ হাসান সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। #
সরিষাবাড়ীতে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খুন
প্রেমিককে প্রধান আসামী করে মামলা
নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে ফাকি দিয়ে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃত্যুর পথযাত্রি প্রেমিকার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হাসপাতালে রেখেই প্রেমিক চম্পট দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জুলাই সোমাবার সকাল ১০ ঘটিকায় সরিষাবাড়ী থানাধীন ডোয়াইল গ্রামে স্থাপিত প্রেমিক রুনির পিতার অটো রাইস মিলের অফিসে। এ নিয়ে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেমিক মোঃ রনি (২৫) কে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারা মতে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা পরস্পর একদলভূক্ত, নারী নির্যাতনকারী ও খুনী প্রকৃতির লোক বলে স্থানীয় ভাবে চিহ্নিত। উক্ত তিন আসামীই এলাকার নামকরা সন্ত্রাসী ও বখাটে প্রকৃতির ছেলে। তারা প্রতিদিন পথে ঘাটে স্কুল কলেজ গামী মেয়েদের উত্যক্ত করে থাকে। উক্ত মামলার বাদী একজন অতি গরীব মানুষ। তার কন্যা রুমা সরকার (১৯) একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করা কালে উক্ত রনি রুমা সরকারের কন্ঠ সংগীতে মুগ্ধ হয়ে তাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে এবং তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতি নিয়ত তাকে মোবাইলে প্রেম নিবেদন সহ নানা ভাবে বিরক্ত করতো। উদিয়মান শিল্পী রুমা সরকার আস্তে আস্তে রনির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে।
উক্ত রনি একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির ছেলে। সে ৫টি সিমের মাধ্যমে রুমা সরকারের সাথে কথাবার্তা বলতো। মোবাইল নাম্বার গুলো রুমা সরকারের ডাইরী থেকে তার পিতা উদ্ধার করে।
উক্ত রনি রুমা সরকারের সহিত প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে তার সহিত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করে আসতে থাকে। কিন্তু রুমা সরকার রনিকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে, বিবাহের পূর্বে সে তার সহিত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করবেনা। রনি তার অভিভাবকদের অজান্তে গোপনে রুমা সরকারকে বিবাহ করার জন্য পীড়াপিড়ি শুরু করলে রুমা সরকার এতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে। এতে রনি রুমা সরকারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং তার দুই বন্ধু ইমন ও পলাশের সহযোগীতায় রুমা সরকারকে ধর্ষণ করার জন্য অর্থাৎ তার ইজ্জত নষ্ট করার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। রুমা সরকার বুঝতে পারে যে, তারা অত্যাস্ত গরীব মানুষ। পক্ষান্তরে প্রেমিক রনির পিতা এলাকার অত্যস্ত ধনাঢ্য ব্যক্তি। সুতরাং রনির সহিত রুমা সরাকারের বিবাহ কোন দিনই তার পিতা মাতা মেনে নিবে না। তাই রুমা সরকার রনিকে মোবাইলে বিরক্ত না করার জন্য বলে দেয়। কিন্তু রনি রুমা সরকারের নিষেধ উপেক্ষা করে তাকে প্রতিদিন একাধিকবার মোবাইলে কথা বার্তা বলে যার নাম্বার হল- ০১৯১৪- ৪৩৩৪৮৮ # ০১৭১৭- ৩১২৮৭৩ # ০১৯২১- ৪৩৯৭৯৭ # ০১৯৩৩-৬৭৯৯১৯# ০১৭৫৪- ২৩৭৩০৫# রুমা সরকার মোবাইলে যে নাম্বার ব্যবহার করতো তা হল- ০১৭২৮-১৭৬০৮৫ ও ০১৯৬৩- ১১৬৩৪৩।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩/০৭/১২ইং রোজ শুক্রবার রুমা সরকার রোজা রেখে সকাল বেলা থেকে তার বসত বাড়ীতে তাদের থাকার পশ্চিম দুয়ারী ঘরে বসে একটি নকশি চাদর সেলাই করছিল। ঐ দিনই সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার সময় রনি কমপক্ষে ৮/১০ বার রুমা সরকারকে মোবাইল করে এবং বলে যে, “তুমি তাড়াতাড়ি বালাসুতি গুদুর মোড় বাজারে চলিয়া আসো। গানের শিল্পী ভাড়া করার জন্য ঢাকা থেকে লোক আসিয়াছে।” রুমা সরকার সরল বিশ্বাসে তার সেলাই কাজ বন্ধ রেখে তাদের বাড়ীর অনুমান ৫/৬ শতগজ দক্ষিণে বালাসুতি গুদুর মোড় বাজারে যায় এবং রনি ও পলাশ উক্ত বাজারের দক্ষিণ কোনায় একটি মোটর সাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রুমা সরকার রনি ও পলাশদের কাছে যাওয়ার পর রনি রুমা সরকারকে বলে যে, গানের শিল্পী নেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ২ জন লোক এসেছে এবং সেই লোক দুইজনকে ডোয়াইল সাকিনে তাহাদের অটো রাইস মিলের অফিসে বসিয়ে রেখে এসেছে। পরে রনি ও পলাশ রুমা সরকারকে রনির মোটর সাইকেলের পিছনে বসিয়ে উল্লেখিত বালাসুতি গুদুর মোড় বাজার থেকে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ডোয়াইল সাকিনে রনিদের অটো রাইস মিলে নিয়ে যায়। সেখানে ইমন পূর্ব থেকেই অপেক্ষা করছিল। রুমা সরকার সেখানে পৌছার পর ইমন রুমা সরকারকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে যে, “ঢাকার লোক ধৈর্য্য হারা হয়ে চলে গেছে।” পরে রনি ও পলাশ রুমা সরকারকে রনির পিতা ও চাচার অটো রাইস মিলের অফিস রুমে নিয়ে যায়। উক্ত রাইস মিলটি প্রায় ১ বৎসর যাবৎ বন্ধ রয়েছে এবং বন্ধ অটো রাইস মিলটির অফিসে রনি তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেয় ও অসামাজিক কার্য্যকলাপ করে। পলাশ রনিকে ও রুমা সরাকার কে উক্ত অফিস রুমে রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যায়। পরে উক্ত রুমের মধ্যে রনি রুমা সরকারকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। রুমা সরকার এতে হত বিহব্বল হয়ে পড়ে এবং আর্তচিৎকার শুরু করে। পরে ইমন ও পলাশ উক্ত রুমের মধ্যে ঢুকে রুমা সরকারকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু রুমা সরকার ইমন ও পলাশের অনুনয় বিনয় উপেক্ষা করে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকলে রনি চিৎকার বন্ধ করার জন্য রুমা সরকারের গলা চেপে ধরে ও তার তলপেটে স্বজোরে লাথি মারে। রনি রুমা সরকারের চুলের মুঠি ধরে তার মাথা নীচ দিকে ঠেসে ধরে ও সঙ্গে সঙ্গে ইমন ও পলাশ রুমা সরকারের তলপেটে ও পাজরে স্বজোরে লাথি মারে। উক্ত লাথি খেয়ে রুমা সরকার উক্ত ঘরের মেঝেতে নিন্তেজ হয়ে পড়ে যায়। তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে পলাশ রনিকে বলে যে, তাড়াতাড়ি কোথাও থেকে একটি বিষের বোতল নিয়ে আয়। সঙ্গে সঙ্গে রনি ও ইমন মোটর সাইকেল যোগে উত্তর দিকে চলে আসে এবং কিছুক্ষণ পরে একটি বিষের বোতল নিয়ে উক্ত অফিস ঘরে প্রবেশ করে। রুমা সরকার পানি পানি করে চিৎকার করিতে থাকলে পলাশ তার চাপায় ধরে মুখ হা করিয়ে ফেলে। তখন রনি রুমা সরকারের মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে পলাশ বলে যে, “তাড়া তাড়া তাড়ি একটি সি. এন. জি নিয়ে আয়। এই মেয়েকে জামালপুর হাসপাতালে নেয়ে ফেলে রেখে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসিতে হবে। কেউ ঘটনা টি বুঝতে পারবেনা। পলাশ উক্তরুপ পরামর্শ মোতাবেক রনি ও ইমন একটি অপরিচিত সি.এন.জি অটো রিক্সা নিয়ে আসে এবং আধামরা অবস্থায় রুমা সরকারকে উক্ত সি. এন.জি অটো রিক্সায় উঠিয়ে রনি, ইমন ও পলাশ রুমা সরকারকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং রুমা সরকারের গার্জিয়ান হিসাবে তার পিতার নাম হাসপাতালে লিখিয়ে রুমা সরকারকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুক্ষণ পরেই রুমা সরকার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তখন রনি, ইমন ও পলাশ দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় এবং রুমা সরকারের পিতাকে মোবাইল করে রনি বলে যে, আপনার কন্যা রুমা সরকার বিষ খাওয়ার কারনে জামালপুর হাসপাতালে মারা গিয়াছে। রুমা সরকারের পিতা মোবাইলে উক্ত সংবাদ জ্ঞাত হয়ে তার স্ত্রী ও অন্যান্য কতিপয় সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ধনবাড়ী থেকে একটি সে.এন.জি নিয়ে জামালপুর হাসপাতালে যায় এবং দেখতে পাই যে, জামারপুর হাসপাতাল মর্গে তার কন্যা রুমা সরকারের পরে আছে। সারা দিন রোজা শেষে মানুষজন যখন ইফতারী কেনা কাটা ও ইফতার করার জন্য ব্যস্ত ঐ মুহুর্তে রুমা সরকারের পিতা মাতা বিনা ইফতারে হাসপাতাল মর্গে রুমা সরকারের লাশের পাশে আর্তচিৎকার করতে থাকে। জরুরী বিভাগের কপিতয় ওয়ার্ডবয় ও নার্সদের কাছে জানতে পারে যে, ৩ জন ছেলে রুমা সরকারকে আধামরা অবস্থায় হাসপাতালে এনেছিল এবং পরে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে। পরের দিন রুমা সরকারের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পিতা মাতার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, রুমা সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি বর্তমানে রনির হেফাজতে রয়েছে। রুমা সরকার পিতা একজন অতি দরিদ্র দিন মজুর। তার কোন টাকা পয়সা নেই। পক্ষান্তরে রনির পিতা ও চাচা এলাকার প্রভাবশালী ও কোটিপতি লোক। রুমা সরকারের হত্যা কান্ডের ব্যাপারে রুমা সরকারের পিতা ধনবাড়ী থানায় ও সরিষাবাড়ী থানায় যান। কিন্তু আসামী ও তাদের আতœীয় স্বজনদের প্রভাবে রুমা সরকারের ধর্ষণ মামলাটি গ্রহণ করা হয় নাই। বরং একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে প্রকাশ করে রুমা সরকারের পিতাকে থানা থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। রুমা সরকারের পিতা রনির পিতা ও চাচার অটো রাইস মিলে পূর্বে কর্মরত দুই জন মহিলা লেবারের কাছে রুমা সরকারের হত্যা কান্ডের বিস্তারিত ঘটনা ও বিবরণ গোপনে শুনে থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু রুমা সরকারের পিতা দরিদ্র দিন মজুর বলে তার কথা কেহ কর্ণপাত করে নি।
Discussion about this post