মঈন উদ্দিন সরকার সুমনঃ প্রবাসে সবাই কর্মময়ী, শত ব্যস্ততার মধ্যে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে। আর এই ব্যস্ত সময়ের মাঝে অবসর সময়ে এক এক জনে ভিন্ন ভাবে ব্যায় করে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু সাহিত্য প্রেমী আছে যারা ঐ সময়টুকু সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করে সুদুর প্রবাসে বাংলার সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। এই সাহিত্য প্রেমীদের জন্য এক প্রকার নেশা বলা যায়। শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সাহিত্য প্রেমীরা প্রতিনিয়ত প্রকাশ করছে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা, প্রবাসে বাংলার সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সময় আয়োজন করছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কুয়েতে বাংলাদেশী সাহিত্য প্রেমীদের কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে এর মধ্যে জাগরণ, পদক্ষেপ, কবি কন্ঠ, শিখর, মৃত্তীকা, বিপ্লব ও অন্যদৃষ্টি সহ আরো অনেক।
ঘনিষ্ঠ দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং ভারত, এই দুই বাংলার লেখকদের একত্র নিয়ে পশ্চিম বাংলার কুয়েত প্রবাসী লেখক ডাঃ অশোক দেব এর সম্পাদনায় প্রকাশিত “মেলবন্ধন” নামক পত্রিকার চতুর্থ সংখার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েতে সালমিয়াস্থ একটি স্কুলের অডিটরিয়ামে পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন করেন কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং কুয়েতস্থ ভারতের রাষ্ট্রদূত সতীশ চন্দ্র মেহতা। মেলবন্ধন এর পক্ষ থেকে বাংলা সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক মোঃ আলী আজম কে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও দুই বাংলার আরো বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন কৃতিত্বের জন্য বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। শেষে দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এপার বাংলা- ওপার বাংলার সাংস্কিৃতি শিল্পীদের মন মাতানো নাচ-গান আর সমন্বিত আবৃতি চর্চা কেন্দ্রের আবৃতি শিল্পিদের পরিবেশনায় “আমার পরিচয়” কবিতাটি দুইদেশের উপস্থিত অতিথিদের মনে বাংলার ইতিহাস নতুন করে জাগিয়ে দেয়।
প্রতিবেদক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন কে একান্ত সাক্ষাৎকারে মেলবন্ধন প্রত্রিকার সম্পাদক ডাঃ অশোক দেব সাহিত্যে তার পদচারনার অনেক কথা জানান। তার পুর্ব পুরুষরা বাংলাদেশের বি,বাড়িয়ার অধিবাসি ছিলেন বলে জানান। তিনি ভারত এবং বাংলাদেশে বাংলা ভাষা-ভাষী সবাই বাঙ্গালী বলে মত ব্যাক্ত করেন। ইংরেজরা দেশ বিভক্ত করেছে কিন্তু ভাষা এবং জাতী বিভক্ত করতে পারেনী বলে জানান। দু দেশের সাহিত্য প্রেমী লেখকদের একত্র করার মনোভাব নিয়ে তিনি মেলবন্ধন নামে সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশনা করেন। সকল প্রবাসী লেখকদের প্রতি তিনি আহবান করে বলেন সবাই একত্রে একটি প্রত্রিকা প্রকাশ করলে বিভিন্ন দেশের অধিবাসিদের কাছে বাংলা সাংস্কৃতি । অনেক গ্রহন যোগ্যতা অর্জন করবে বলে আশা করেন।
তার এই মেসেজ্য বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙ্গালী লেখকদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
পশ্চিম বাংলা থেকে এই প্রথম বারের মত সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক মোঃ আলী আজম কে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
লেখক মোঃ আলী আজম প্রতিবেদক এর সাথে একান্ত সাক্ষ্যাতে তার আবেগ আপ্লুত অভিমত প্রকাশ করে বলেন তিনি পূর্বে বাংলাদেশী বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন । কিন্তু এই প্রথম ভারত তথা পশ্চিম বাংলা থেকে প্রদত্ব সম্মাননা আগামীতে তার সাহিত্য চর্চার অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করবে বলে জানান।
Discussion about this post