আল আমিন রানা : আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিশুরা জানতে হবে ইতিহাস, গড়তে হবে দেশ, তবেই স্বার্থক মা- মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোনারগাঁও জ্ঞানের দীপশিখা বিদ্যানিকেতন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিবস ও অধ্যায় নতুন এক পাঠশালার প্রথম একুশ এক ঝাক কোমলমতি শিশুরা পালন করলো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ ২০১৭। একুশের প্রথম প্রহরে আধুনিক শিক্ষার ব্যাতিত্রুমধর্মী প্রতিষ্ঠান জ্ঞানের দীপশিখা বিদ্যানিকেতন এর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ফরহাদ এক ঝাক কোমলমতি শিশুদের নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন । পরে স্কুলের সকল অভিভাবক ও গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ও কোমলমতি শিশুদের নিয়ে জ্ঞানের দীপশিখা বিদ্যানিকেতন স্কুল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধমিত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হয়।সেই সাথে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য় উপর প্রমাণ্য চিএ প্রদর্শন করা হয় । স্কুলের প্রধান শিক্ষ মাহফুজুর রহমান ফরহাদ বলেন ১৯৫২’র পর এই প্রথম নিজ গ্রামে শহীদ মিনার দেখলেন সহস্রাধিক মানুষ। প্রভাতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আন্তজাতিক মাতৃভাষা পালনে একুশের আগের দিন ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে । যাঁরা কাজ করছে ওদের কারো বয়স পাচঁ থেকে দশের কোটায় পৌছেনি। শিশুদের এ কাজে উৎসাহ আমাদের সোনারগাঁয়ের মানুষ গর্ভিত। এদিকে শিশুদের নিয়ে আলোচনা সভায় স্কুলের উপদেষ্টা মন্ডুলী বলেন-১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, শফিউর, জব্বারসহ অনেকে। তাদের রক্তে মায়ের ভাষা ফিরে পেয়েছে বাঙালি জাতি। একুশের এই দিনে কৃতজ্ঞচিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে আসছে দেশবাসী। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো শিশু-কিশোররাও প্রকাশ করছে নিজেদের অনুভূতি যা প্রমান করে জ্ঞানের দীপশিখা বিদ্যানিকেতন এর এক ঝাক কোমলমতি শিশুরা । পরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কবিতা,একুশের গান নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করেন একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল এ দিনটি ।
Discussion about this post