শেখ জহির রায়হান: স্মৃতিচারণ বেহুলাদিন-১ কুয়েত’র বন্ধুদের উৎসর্গকৃত, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। কুয়েত’র সবাইকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। আমি ধন্যবাদ দিয়ে আপনাদের ছোট করতে চাই না। আমার সৌভাগ্য ২০০৫-২০১১ এই দীর্ঘ ছয় বছর আমি আপনাদের সাথে মিশার সুযোগ পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে আর আপনাদের প্রতি। আমি অকৃতজ্ঞ নই, আপনাদের ভালোবাসায় আমি পরিপূর্ণ। দোয়া করি আপনাদের সকল ক্ষেত্রে, সকল আয়োজনে,সকল প্রয়োজনে আল্লাহ্ আপনাদের প্রতি সহায় হবেন। মানুষ উদ্ভাস্তু নয় বন্ধু, নিষ্ঠুর সময় মানুষকে কিছুদিনের জন্য উদ্ভাস্তু বানায়। এই ব্যস্ত পৃথিবীতে একদিন নিজ প্রয়োজনে নিজের অজান্তেই সব ভালোবাসা, সকল পরিচয় চাপা পড়ে, আমরা ভূলে থাকি সবকিছু। যতোদিন বেঁচে থাকি আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকবো।
২০১১ সালের ০৮-ই ডিসেম্বর আমি অকস্মাত স্বদেশে প্রর্তাবর্তন করি। আপনাদের সাথে শেষ দেখা না হওয়ার কষ্ট আমাকে মৃতে্যুর আগ পর্যন্ত তাড়া করবে। যে যেখানে- যে অবস্থায় আছেন সবাই অনেক ভালো থাকুন; তবেই মন শান্তি পাবে।এক সাথে চলার পথে যে ভূল ত্রুটি ছিল; যানিনা তা ক্ষমার যোগ্য কিনা ? এক নগর গায়েনের ভাষ্য – “এখনো বেহুলা ভাসে শ্রাবণের জলে কলার মান্দাস যেন আকাশে-পাতালে” বেহুলার এই ভাসানের সঙ্গে মিশে আছে প্রবাসীদের রোজনামচা- বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্ত্বীয়-স্বজন, অপেক্ষমান সঙ্গীন নারী; তাঁদের স্বপ্ন পূরণের আনন্দ অনেক। প্রবাসীরা যেন বেহুলার মতই সাত ঘাটের অভিজ্ঞতা অর্জন শেষে বেহুলার মতো কষ্টকান্না যেন বুক থেকে ক্ষণে-ক্ষণে বের হয়ে আসে। তারপরও বছরের পর বছর থাকতে হয় পরিবারের স্বপ্ন পূরণের আনন্দ নিয়ে। বেহুলাদিন-২ এ বুকে আছে জমা বেহুলাদিন মনে হয় এইতো সে-দিন কাজের শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে জমতো আড্ডা কবিতা গান দিয়ে। স্মৃতি রোমন্থন করে বন্ধু ভালো থেকো মরুর দেশে স্বদেশে আসবে ফিরে একদিন বুক টান করে বিজয়ের বেশে। রেমিটেন্স যোদ্ধা তোমরা এ মাটির গর্বিত সন্তান নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে পরিবার আর দেশকে করেছ দান।
বামে শেখ জহির রায়হান
Discussion about this post