মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ আজ ৪ এপ্রিল পাবনা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ শহিদুল্লাহ বাচ্চুর ১৫তম মৃত্যু দিবস। ১৯৯৭ সালের এই দিনে পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া কৃষি খামারের নিজ গাড়ীর মধ্যে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। দীর্ঘ ১৫ বছরেও এই হত্যা মামলার বিচার হয়নি। এ ব্যাপারে তার দল ও পরিবার থেকেও হত্যার বিচার দাবী করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি শহরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা পর পর দুই বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত পৌরসভা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল্লাহ বাচ্চুর ১৯৯৭ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিজ গাড়ীর মধ্যে গুলিতে তিনি নিহত হন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে পাবনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্তত ৭ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ ও পরিবর্তণ করা হয়। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালে ২২ নভেম্বর সিআইডি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বিশু, পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, পাবনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু, পাবনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদুল ইসলাম ডালু, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারী বাকী, আনোয়ার হোসেন সুর্য, জেলা জাপা সাধারন সম্পাদক মরহুম আজিজুর রহমসান আরজু, মোতাহার হোসেন মুতাই, মাসুদ, মনা কমিশনারসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ২০০৬ সালে জাপা নেতা আজিজুর রহমান আরজু সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। বিএনপি শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বিশুর নাম প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নাম প্রত্যাহার করা হয়। সম্প্রতি পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারী বাকী, আনোয়ার হোসেন সুর্য, মোতাহার হোসেন মুতাই, মাসুদ মনা কমিশনারসহ ১১ জনের নাম রাজনৈতিক হয়রানী বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে পাবনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু, প্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলাম ডালু ও চাটমোহরের সাইপাই গ্রামের আব্দুল মান্নান চার্জশীটভুক্ত আসামী রয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি কি অবস্থায় আছে তা তার কোন হদিস বা তথ্য কারো জানা নেই। পাবনা সদর থানা ও জেলা পুলিশ অফিসও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন। মরহুম বাচ্চুর স্ত্রী ফৈজিয়া বাচ্চু এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু বলতৈ চাননি। শুধু বলেছেন, স্বামীকে হারিয়েছি সন্তানদের আর হারাতে চাইনা।
অবশেষে পাবনা ঈশ্বরদী ইপিজেডের রোশিতা ও মেগাটেক্্র থেকে দুর্নীতিবাজ ১০ কর্মকর্তাকে অপসারন
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনা ঈশ্বরদী ইপিজেডে গত রবিবার ২৫ মার্চ দিনভর পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রোশিতা নীটওয়্যার লিঃ ও মেগাটেক্স নীটাস নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। ঈশ্বরদী ইপিজেডে চায়না হংকং জয়েন্ট কনভেন্সের মালিকানাধীন রোশিতা নীটওয়্যার লিঃ ও মেগাটেক্স নীটাস ফ্যাক্টরী দুটির চায়নাসহ বাঙ্গালী উর্দ্ধতন ১০ জন কর্মকর্তাকে দুর্নীতি ও শ্রমিকদের নির্যাতন এবং শোষনের দায়ে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপসারনকৃত ব্যক্তিরা হলো চাইনিজ হন্টার, ডেভিট সিউ, মেগীলাম, মিষ্টার চ্যাং, মিসেস জান, আমির হোসেন। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে ফ্যাক্টরী দুটিকে অনির্দষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সময় ৪৫ দিনের বেশি নয়। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন কবে দেওয়া হবে বা কিভাবে দেওয়া হবে তা সেই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি। এদিকে বেপজা প্রশাসন থেকে ফ্যাক্টরী দুটির কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে সৃষ্ট হওয়া সমস্যাকে সমাধান ছাড়া রোশিতা ও মেগাটেক্্র ফ্যাক্টরী দুটি চালু না করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সুত্রটি আরও জানান, চাইনিজদের মালিকানাধীন রোশিতা ও মেগাটেক্্র নামের ফ্যাক্টরী দুটির চায়নার কিছু অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে মাঝারী শ্রেণীর একজন মাত্র কর্মকর্তার দূর্নীতির কারণে ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়ে ভয়াবহতা আকার ধারন করেছে। এই জন্য ইপিজেডে অন্যান্য দেশি ও বিদেশী শিল্পদ্যোক্তা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। আর তাতে ইপিজেডটির অগ্রগতির পথ ভয়াবহ ভাবে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ধবংস হওয়ার আশংকা এখন চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে বলে সুত্রটি দাবি করেন। এদিকে দুর্নীতিবাজ চায়নাসহ বেশ কিছু বাঙ্গালী কর্মকর্তাকে চায়না হংকং জয়েন্ট কনভেন্সের মালিকরা অপসারন করায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ নিরসন হবে বলেও সুত্রটি দাবি করেন। আর এতে পুরোদমে ইপিজেডের প্রাণ সঞ্চার হবে বলেও জানান।
পাবনা সাঁথিয়ায় বিএনপি’র দ’ুগ্র“পের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ গুলি ভাংচুর লুটপাট-ওসিসহ আহত ৩০
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনার সাঁথিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুলি, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ওসিসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও করমজা গ্রামের শামসুর রহমান গ্র“প (মল্লিক গোষ্ঠি) ও উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও একই গ্রামের রইচ উদ্দিন গ্র“প (সরদার গোষ্ঠি) এর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার উভয় গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ ও মামলা মোকর্দ্দমা হয়েছে। জানা গেছে, ২/৩ দিন পূর্বে শামসুর রহমান গ্র“পের লোকজন রইচ গ্র“পের জমি থেকে জোড় পূর্বক পিয়াজ তুলে নেয়। এরই জের ধরে গত সোমবার সন্ধ্যায় রইচ গ্র“পের লোকজন শামসুর গ্র“পের এক ছেলেকে সি,এন্ড,বি বাস ষ্ট্যান্ডে নিয়ে মারপিট করে।এ খবর জানাজানি হলে উভয় গ্র“প অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে সংঘর্ষ চলার সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে সি,এন্ড,বিসহ আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ দিক-বিদিক ছোটা ছুটি করতে থাকে। দ্রুত এলাকার দোকান পাট বন্দ হয়ে যায়। এসময় বগুড়া নগর বাড়ি মহাসড়কের (সিএন্ডবি এলাকায়) যানজটের ফলে যানবাহন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সাঁথিয়া ও বেড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। হামলাকারীদের আঘাতে সাঁথিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক সহ দুইজন পুলিশ কনষ্টোবল জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও আতাউর রহমান আহত হন। উভয় পক্ষের হামলা চলাকালে বেশ কয়টি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পাবনা থেকে অতিরিক্ত ডাঙ্গা পুলিশ এনে রাত ৯টার দিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শ্রমিক দলের সভাপতি রইচ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম অভিযোগে জানান প্রতিপক্ষরা তার ঘরের ভিতরে ঢুকে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধরা হচ্ছে জাফর আলী (৩০), নিতাই চন্দ্র দাস (১৯), আমির আলি (৪০)। অন্যান্য আহতরা হচ্ছে পাভেল (২৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (২০), সজিব (২০), তালুকদার (৩২) । আহতদেরকে বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপার সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক সরকার বাদী হয়ে ৫৫জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩’শ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন।
গৃহহারা ১৬ পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন : সাঁথিয়ায় হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ীঘর লুটপাট অগ্নিসংযোগের পর বাড়ী থেকে উচ্ছেদ
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনায় প্রায়ই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে লুট-ত্বরাজ, অগ্নিসংযোগ এমনকি মাঠের ফসলী জমিসহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপরাধ দমাতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছেন। গৃহহীন মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের ‘খান মাহমুদপুর’ গ্রামে। ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঐ গ্রামের জমিজমা ও জলাশয়ের বিরোধকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল ও আলমাছ হোসেনের ২ পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আলমাছ নিহত হয়; আহত হয় অনেকে। এ ঘটনার পরপরই নিহত আলমাছ হোসেনের লোকজন আউয়াল পক্ষের লোকদের ১৬টি বাড়ী লুট-ত্বরাজ, ভাঙচুর করে। এমনকি তাদের ভিটে-মাটি থেকে বাড়ী-ঘর ভেঙে নিয়ে যায়। বাড়ী গবাদি পশু, সকল সম্পদ লুট হয়ে যায়। এরপর হত্যা, লুট-ত্বরাজ ও উচ্ছেদের বিষয়ে উভয় পক্ষ থেকে থানায় ২টি মামলা হয়। এই ১৬টি পরিবার দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বাড়ী-ঘর ছেড়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আসতে পারছে না তারা বাড়ীতে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসতে না পারায় তাদের লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ীর রান্নার চুল্লি থেকে শুরু করে ঘরের চাল পর্যন্ত যা কিছু আছে তার সবই নিয়ে গেছে নিহত আলমাছ হোসেনের পক্ষের লোকেরা। ঘরের আসবাব-পত্রের সাথে জমির মালিকানার দলীলও নিয়ে গেছে। এমনকি পাকা বাড়ী করার জন্য নতুন ভিতের রড পর্যন্ত কেটে নিয়ে গেছে তারা। মাঠের ফসলী জমি বেদখল করে নিয়েছে বলে এতে চাষাবাদ করতে পারছে না জমির মূল মালিকেরা। আলমাছ হত্যা মামলার আসামী পক্ষ বারবার পুলিশের কাছে গিয়েও কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, বাড়ীতে বসবাস করার চেষ্টা করলেও তাদেরকে ফালা-লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ (নিহত আলমাছের লোকজন) হামলা করেছে কয়েকবার। সর্বশেষ সাঁথিয়া থানা-পুলিশের আশ্বাসে গত ০১/০৪/২০১২ তারিখে (রবিবার) নিজেদের ভিটেমাটিতে এসে জড়ো হবার সাথে সাথে নিহত আলমাছ পক্ষ তাদের উপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়ে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে ধোপাদহ ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নূরজাহান খাতুন জানান, তিনি ঐ ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও তাকে করা হয়েছে হত্যা মামলার আসামী। তিনি বলেন, “আলমাছ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় যে রায় হবে, সেটা মেনে নেয়া হবে। কিন্তু ১টি হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৬টি পরিবার আজ প্রায় ৭ মাস তাদের বাড়ী-ঘর ছেড়ে অন্যত্র মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য বারবার আবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছে না।” সর্বশেষ ২২ মার্চ পুলিশ সুপার বরাবর আলমাছ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আসামীরা নিজ-নিজ বাড়ীতে বসবাস করতে পারেন- তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ধোপাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, “আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। এটা খুবই অমানবিক। হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে আদালতে। আসামীদেরকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার অর্থ আইন নিজ হাতে তুলে নেয়া। এটা কখনোই ঠিক নয়। আমি আসামীদেরকে থানা-পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে পুলিশে জানিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।”পাবনা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, বাড়ী থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে গত মার্চ মাসে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এতে সাঁথিয়ার ধোপাদহ ইউনিয়নের সংরক্ষিত একজন মহিলা সদস্য আসামীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন। আবেদনে ১৬টি পরিবারের নিজ-নিজ ভিটে-মাটিতে বসবাসের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূল ঘটনার বিপরীতে উভয় পক্ষই থানায় ২টি মামলা করেছে। মামলা দু’টির চার্জশীটও হয়েছে। মামলা আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু বাড়ী থেকে উচ্ছেদের বিষয়টি অমানবিক এবং আইন-বহির্ভূত। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post