ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় কালিবাড়ি বিলের পদ্মফুলে প্রকৃতি যেন সেজেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ধর্মনগর গ্রামে অবস্থিত এই বিল। সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসু লোকজন এখানে ভিড় করছেন। কেউ স্ত্রী-পুত্র নিয়ে, কেউবা এসেছেন পরিবারের সদস্য নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে এখানে বেড়াতে আসছেন। সকাল ও বিকেল তরুণ-তরুণীরা আড্ডা, নৌকায় চড়া, আনন্দ আর হইচই করেন। ভ্রমণ পিপাসুরা যেন মাতিয়ে তোলেন পুরো এলাকা। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শণার্থীদের বিল জুড়ে পদ্মফুলের সাথে ছবি তুলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম নেই। এজন্য স্থানীয় বেশ কিছু তরুণ-যুবক, ছাত্র, কৃষক পদ্মাবিলে দর্শণার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকা চালিয়ে বাড়তি আয় করছেন। একজন নৌকা চালক দৈনিক প্রায় ১ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। আখাউড়া থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কালিবাড়ি পদ্ম বিলটি অবস্থিত।
সরেজমিন দেখা যায়, নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন স্থানীয় তরুণ, যুবক, ছাত্রসহ অন্তত ২০-২৫ জন। নয়নাভিরাম প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সকাল-বিকেল বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ভ্রমণ পিপাসু লোকজন।
নৌকা আকারে ছোট হওয়ায় একেকটি নৌকায় ৪-৫ জন ভ্রমণকারী উঠছেন। ঘণ্টা প্রতি নিচ্ছেন ২০০ টাকা। নৌকা চালক মো. মুছা মিয়া বলেন, তিনি মূলত কৃষি কাজ করেন। কাজের ফাঁকে এখানে নৌকা চালিয়ে দৈনিক ৭০০-৮০০ টাকা আয় করছেন।
আলম মিয়া বলেন, গত ১ মাসের ওপর ধরে তিনি পদ্মবিলে নৌকা চালাচ্ছেন। সকাল-বিকেল নৌকা চালিয়ে ১ হাজার টাকার উপর আয় হয় তার।
ফরিদ মিয়া বলেন, আগে শ্রমিকের কাজ করা হতো। কিন্তু এখানে দিন দিন লোকজনের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকার চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই এখানে নৌকা চালিয়ে ভালো টাকা আয় করছেন।
বিজয়নগর থেকে আসা মো. আল মামুন বলেন, স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে এখানে এসেছেন তিনি। ১ ঘণ্টার জন্য ২০০ টাকায় একটি নৌকা ভাড়া করে ঘোরেন তিনি।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, পদ্মবিল দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শণার্থীরা আসছেন। বিনোদন প্রিয় লোকদের কাছে এই স্থানটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্ষা মৌসুমে এ বিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল এক দিকে যেমন বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে, পাশাপাশি দর্শণার্থীদেরকেও মুগ্ধ করছে।
Discussion about this post