রেজাউল করিম পান্না; বদরগঞ্জ, রংপুর-দিনাজপুরের পার্ব্বতীপুর উপজেলার খনিজ শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত মধ্যপাড়া কলেজটি শুধু মাত্র স্বীকৃতিকে সম্বল করে দীর্ঘ ১যুগ ধরে এমপিও ভুক্তির জন্য প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে । কলেজের শিক্ষক কর্মচারী সহ ২৫ জন স্টাপ ১৩ বছর হতে বেতন ভাতা ছাড়াই মানবেতর জীবন যাপন করছে । ১৯৯৯ ইং সালে স্থাপিত কলেজটি পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের সংশি�ষ্ট এলাকায় মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রকল্প সংলগ্ন কাল নদীর পাড়ে রংপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের পার্শ্বে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কলেজটি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন কয়েক জন শিক্ষানুরাগী জমি দাতা । মধ্যপাড়া কলেজের অনুকুলে ২.৪২শত জমি দান করে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন। পরর্বতীতে এলাকাবাসী এবং শিক্ষক কর্মচারীদের ঐক্য প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটি স্ব-গৌরবে চলে আসছে। পাঠ দানের অনুমতি মিলেছে ০১/০৭/২০০২ ইং, কলেজটির স্বীকৃতি মিলেছে ০১/০৭/২০০৬ ইং সালে । কলেজের ২৫ জন স্টাপ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে অদ্যবধি কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও নেই তাদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা । কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান এই প্রতিবেদক কে জানান, পাঠ দানের অনুমতি এবং স্বীকৃতিকে শুধু সম্বল করে আমরা আশাবাদী হয়ে প্রহর গুনছি এমপিও ভুক্তির, কিন্তু বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১যুগ স্বেচ্ছাশ্রমের পরেও বেতন ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকার কারনে আর্থিক দৈন্যতার নির্মম কষাঘাতে আমাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ২০০৪ সাল হতে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষা দানের অনুমতি পাওয়ার পর হতে পরীক্ষার রেজাল্ট অত্যন্ত সন্তোষ জনক । বর্তমানে ২০১২ সালের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬৮ জন। কলেজ দপ্তরী মোঃ মানিক শাহ্ আক্ষেপ করে বলেন, আমি ১ যুগ পূর্বে আমার শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি করে কলেজের পিছনে খরচ করে এখন সর্বশান্ত হয়ে কাপড় ইস্ত্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি, জমিটুকু থাকলে এখন কার বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্য হত। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় ভূমি প্রতিমন্ত্রী মহোদয় কলেজটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এমপিও ভুক্তির প্রতিশ্রতি দিয়েছিল কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি । এলাকার শিক্ষানুরাগী এবং সচেতন মহলের দাবি শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ তৈরীতে সহায়ক মধ্যপাড়া কলেজকে দ্রুত এমপিও ভুক্তি করা হউক ।
Discussion about this post