সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারকরণে ওয়াশিংটনের সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম জানান, সফররত মার্কিন কর্মকর্তা আরো বলেছেন, তার দেশ অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত ও জোরদার দেখতে চায়। মুখপাত্র বলেন, ওয়েন্ডি শারমেন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।শারমেন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চায়। কারণ ওয়াশিংটন ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জবাবে শেখ হাসিনা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে এবং বর্তমানে তারা দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে এবং নির্বাচনের সময় ইভিএম পদ্ধতি চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের গত তিন বছরের শাসনামলে প্রায় ৫ হাজার নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ উঠেনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এম্বাসেডর এট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন। মুখপাত্র বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করা হয়েছে।
তিনি সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশেরও সহযোগিতা কামনা করেন।এর আগে মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার আহামেদ সারির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর গণভবনের বাসভবনে সাক্ষাত করেন।
Discussion about this post