মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ ডেসটিনির কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ, পান্তি, গাজিরহাট, ও বাঙ্গরা বাজারের ৪টি অফিসে ৪দিন ধরে তালা ঝুঁলছে। বিতকির্ত মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানী ডেসটিনি -২০০০র কর্তৃপক্ষের অর্থ আতœসাৎ ও নানাহ দূর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মুরাদনগরের গ্রাহকরা। কোটিপতি হওয়ারর স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা তাদের সর্বস্ব তুলে দিয়েছিলেন কোট-টাই পড়া ডেসটিনির কর্মকর্তা সেই বাবুদের হাতে। আর সহজ-সরল মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে ডেসটিনির টাকা লুটে নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ডেসটিনির মুরাদনগর উপজেলার বড় বড় বাজার সংলগ্নের ৪টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে কোট-টাই পড়া কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মীরা এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধা পর্যন্ত ক্ষুদ্ধ গ্রাহক ও ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অফিসের সামনে এসে তালাবদ্ধ অফিস দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ডিস্ট্রিবিউটর ও মাঠকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এদের মধ্যে ভাঙ্গা নগর গ্রামে বেসরকারী চাকুরীজীবি আলতাফ হোসেন জানান, কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকার ডেসটিনির ডায়মন্ডখ্যাত মিজানুর রহমানের মাধ্যমে তিনি ২৪ লাখ টাকা পাওয়ার আশায় ১২ বছর মেয়াদে ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ডেসটিনির দূর্নীতির তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সে তার লভ্যাংশ ছাড়াই শুধু মাত্র আসল টাকা ফেরত পেতে চান। কিন্তু অফিসে তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা গা ঢাকা দেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সাহেবনগর গ্রামের রড মিস্ত্রি মো ঃ শাহআলম মিয়া জানান, ৬ হাজার ৩ শত টাকায় ১০ বছর মেয়াদে ১ লাখ টাকা পাওয়ার আশায় পার্বত্য এলাকায় টি-প্লান্টেশন প্যাকেজ ক্রয় করেন। সে বর্তমানে লাভ ছাড়াই তার লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পেতে চান। কিন্তু হটাৎ করে অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় এবং কর্মকর্তারা পালিয়ে যাওয়ায় তিনি কার কাছে যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তিনি তার টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই ভাবে সাধারন গ্রাহকরা ডেসটিনিতে জমা রাখা তাদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সরকারী প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে। মুরাদনগরে ডেসটিনির প্রায় ১২ সহস্রাধিক গ্রাহক রয়েছে বলে জানা গেছে।
Discussion about this post