বাংলানিউজ: ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনদিনের সরকারি সফরে বুধবার তুরস্কের আঙ্কারা যাচ্ছেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসিফ তাইপ এরদোগানের আমন্ত্রণে তার এ সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্য এশিয়া অণুবিভাগের মহাপরিচালক মঙ্গলবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘অগ্রবর্তী দলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সোমবার সকালেই তুরস্ক গেছেন।’ বুধবার বেলা ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে শেখ হাসিনা আঙ্কারার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে ৫৫ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হচ্ছেন। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির আঙ্কারা এসেনবগা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে আঙ্কারা শেরাটন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ১২ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে তার অফিসে অভ্যর্থনা জানাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের পর দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করবেন। চুক্তি ও সমঝোতাগুলো সইয়ের পর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দেওয়া এক ভোজসভায় শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকারের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি সৌধ পরিদর্শন করবেন। শেখ হাসিনা আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক বক্তব্য প্রদান এবং তুরস্কের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত শীর্ষ সংগঠন টিওবিবি’র দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি উন্মোচন এবং আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন কমপেক্সের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রবাসীদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় করার কথা রয়েছে। শুধু তুরস্কই নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গেও শেখ হাসিনার মতবিনিময় করার কথা রয়েছে। এর বাইরে তুরস্কের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ টাসকন’র নেতাদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদরুদ্দীন আহমেদ কামরান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান, প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হচ্ছেন। ১৪ এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এদিকে এ সফরে বাণিজ্য ও কূটনীতি বিষয়ক ৩টি চুক্তি ও ২টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post