বিডিনিউজ- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের ১২ শ’ প্লটের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৫২০টির বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসামনী স্মৃতি মিলনায়তনে এই লটারি হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল বিশেষজ্ঞ লটারির জন্য রাজউককে সহায়তা দেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান লটারি অনুষ্ঠানে বলেন, ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নতুন করে আর কোনো প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ দেবে না। এরপর থেকে রাজউক বহুতল ভবন নির্মাণ করে কেবল ফ্ল্যাট বিক্রি করবে। “রাজধানীর চারদিকে চারটি উপশহর গড়ে তোলা হবে। শহরগুলোতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে সীমিত আয়ের মানুষের মাঝে ফ্ল্যাট বিক্রি করা হবে।” তিনটি শ্রেণীতে একলাখ ফ্লাট নির্মাণের পর বিশ বছরের কিস্তিতে তা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। তবে বিদ্যুতের অভাবকে নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেন তিনি। বুধবারের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঝিলমিলের ১২০০ প্লটের মধ্যে ৫২০টির বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১০ শতাংশ প্লট সংরক্ষিত রেখে পাঁচটি ‘পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে’ (আইনজীবী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ ও সাংবাদিক) প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে। এসব পেশার সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, বুধবারের লটারির ফল রাজউকের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে (www.rajukdhaka.gov.bd/rajuk/webHome) পাওয়া যাবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার চারটি দৈনিক পত্রিকায় বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, লটারিতে যারা প্লট বরাদ্দ পাবেন না, আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাবে আবেদনের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আগামীতে তারা ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করতে পরবেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব ড. খোন্দকার শওকাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর পোস্তগোলার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেতরে ঝিলমিল প্রকল্পে মোট ২০টি শ্রেণী ও উপশ্রেণীতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ৩৮১ দশমিক ১৯ একর আয়তনের এই প্রকল্পে ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ মানুষের আবাসন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন রাজউক কর্মকর্তারা।
ঝিলমিলে প্লট পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে গত বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবেদনপত্র নেয় রাজউক। প্রথম দফায় বরাদ্দ দেওয়া ৫২০টি প্লটের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৩৫৮টি। প্রতিটি প্লটের বিপরীতে আবেদনকারী ছিলেন ৩৭ জন।
Discussion about this post