মোবারক বিশ্বাসঃনিজস্ব সংবাদদাতা- পাবনার সাঁথিয়ায অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারন ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবী করেছেন এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান গত ৭ এপ্রিল স্কুল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দুরে জেলা সদরের কৃষ্ণপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে জালিয়াতি ও কারচুপির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের সহোদর ভ্রাতা শামসুল হকের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দিয়েছে। এতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ সচেতন অভিভাবক মহল গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুড়ে নাড়িয়া গদাই স্কুলের সামনে সাঁথিয়া-ধুলাউড়ি সড়কে বিক্ষেভ মিছিলসহ মানববন্ধন করেছে। অভিযোগে প্রকাশ,বর্তমান প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক দুনীতি করে বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধন করে আসছে। অভিভাবক মহল ও ছাত্র-ছাত্রীরা অবিলম্বে এই দুনীতিবাজ শিক্ষকের অপসারন দাবী করেছে।
পাবনার রিপোর্ট – নিজস্ব সংবাদদাতা
পাবনা চাটমোহরে বিনামুগ-৮ এর চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার চাটমোহরে গত ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ময়মনসিংহ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার আয়োজন গ্রীষ্মকালীন মুগের উন্নতজাত বিনামুগ-৮ এর আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসরাম। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনোয়ার করিম খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম, ড. আশরাফুল ইসলাম, ড. শামসুন্নাহার, ড. হোসনেয়ারা বেগম। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলম, কৃষক মোঃ মজনুর রহমান প্রমুখ। কৃষক প্রশিক্ষণে উপজেলার ৫০ জন মুগডাল চাষী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙ্গুড়ার আলোচিত বিএনপি কর্মীর বাড়ির খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ার বহুল আলোচিত বিএনপি কর্মী তোরাব আলী খাঁ’র বাড়ির খোয়া যাওয়া স্টীলের দরজা-জানালা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ । থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলার কৈডাঙ্গা গ্রামের ওই বিএনপি কর্মীর বাড়ির ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্টীলের ৫ টি দরজা ও ২টি জানালা পাকা টিনসেড ঘর থেকে খুলে নেয় অজ্ঞাত চোরেরা। এ খবর পেয়ে তোরাব আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। মামলা নং-০৩। গতকাল এএসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ির পাশের গুমানি নদী থেকে দরজা-জানালাগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত পুলিশ তা সনাক্ত করতে পারেনি। উল্লেখ্য,বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে ওই বিএনপি কর্মী ও তার পরিবারের উপর স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা হামলা-মামলা,অন্যায়-অত্যচার শুরু করলে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
পাবনায় ভূ-কম্পন
মোবারক বিশ্বাসঃ গতকাল বুধবার পাবনা শহর ও আশপাশের এলাকায় মৃদু ভুকম্পন অনুভুত হয়। বেলা পৌণে ৩টায় এ ভূ-কম্পন অনুভুত হয়। জেলা প্রশাসন জানায়, বিকেলে পৌনে ৩টার দিকে ভূ-কম্পন অনুভুত হয়। এতে তাৎক্ষণিক কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ॥ পাবনার পুষ্পপাড়া হাটের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনার ঐতিহ্যবাহী পুষ্পপাড়া হাটের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও উপজেলা প্রশাসনরে মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। হাইকোর্টের নিষেধাঙ্গা অমান্য করে উপজেলা প্রশাসন তাদের টোল (খাস) আদায়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় এ বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গতকাল ইজারাদার কর্তৃপক্ষ তা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে। গতকাল বুধবার পাবনা জেলা প্রশাসন বরাবর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পুষ্পপাড়া কামিল (এমএ) মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো: সহিদুর রহমান সহিদ এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী শেখ এর দায়েরকৃত আবেদন সুত্রে জানা গেছে, ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পুষ্পপাড়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসাটি পরিচালনার লক্ষে এলাকাবাসী মাদ্রাসার জমির উপর একটি হাট বসায়। যা পুষ্পপাড়া হাট নামে বহুল প্রচলিত। দীর্ঘ ৬০বছর লীজের ভিত্তিতে একটানা মাদ্রাসার অনুকুলেই হাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। তারই ধারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ হাটের মেয়াদ ছিলো চলতি চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্ত গত ২ ফেব্র“য়ারী উপজেলা পরিষদ হাটটি ইজারা দেয়ার জন্য টেন্ডার আহবান করে। ফলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হাট ইজারা বিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা স্থগিত এবং হাটটি মাদ্রাসার অনুকুলে রাখার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। হাইকোর্টের বিচারক মো: বজলুর রহমান এবং হাবিবুল গণি‘র দ্বৈত ব্রেঞ্চ গত ২০ ফেব্র“য়ারি হাট ইজারা প্রদান ও দরপত্র বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ২ মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আগামী ১৪১৯ বাংলা সনের হাটের লীজমানি, আয়কর ও ভ্যাট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করেন। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন হাটের টোল আদায়ের ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকতে বলেন। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভুমি অফিসের মাধ্যমে হাটের টোল খাস আদায়ের সিন্ধান্ত নেন। এই নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও মাদ্রাসা কর্র্র্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন জানান, আমরা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কপি পেয়েছি। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কোন লীজমানি আমি পাইনি। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাটের টোল খাস আদায় করা হবে। প্রতি হাটবারে ভুমি অফিসের মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকে লীজ দেয়া হবে। আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা থাকবে। পরবর্তিতে মামলার রায় যাদের পক্ষে যাবে তাদের এ টাকা প্রদান করা হবে। এদিকে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পুষ্পপাড়া কামিল (এমএ) মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো: শহিদুর রহমান শহিদ বলেন, হাইকোর্ট হাটের টেন্ডার স্থগীত করেছে, তা সত্বেও উপজেলা পরিষদ আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে হাটের (খাস) টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে কয়েক যুগ ধরে মাদরাসার অনুকুলে থাকা হাটটি দখলচ্যুত এবং মাদরাসার ভবিষ্যত নিশ্চিত বিপদাপন্ন হওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমি উপজেলা কর্তৃক হাটের খাস আদায় বন্ধ করে মাদ্রাসা কর্তৃক টোল আদায়ের ব্যবস্থা করার দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার ) মাদরাসার গর্ভনিং বডির সভা হবে। এ সভায় পরবর্তি করনীয় সম্পর্কে সিন্ধান্ত নেয়া হবে। সার্বিক বিষয় জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী শেখ একই দাবী জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারের সকল নিয়মনীতি মেনেই প্রতি বছর লীজ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আগামী বছরের লীজমানির টাকাও পরিশোধ করেছি। এই হাট থেকে আয়কৃত অর্থ দ্বারা একটি লিল্লাহ বোর্ডিং ও মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। তিনি হাটটি মাদ্রাসার অনুকুলে রাখার দাবী জানান। এদিকে এলাকার সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের খাস টোল আদায়ের সিন্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই নিয়ে প্রতি হাট বারে বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে। তারা লীজ নেয়াকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে টোল আদায় এবং মাদরাসার উন্নয়নে হাটটি প্রতিবারের ন্যায় এবারও মাদ্রাসা কর্র্র্র্র্র্তৃপক্ষকে লীজ প্রদানের দাবী জানান ।
ভিসির আত্মীয় বলে কথা…..
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক এমএলএসএস ইনফরমেশন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব থেকে প্রজেক্ট বোর্ড চুরি করার পরেও তার বিচার হয়নি। শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে চোরের বিচার দাবী করলেও কিছুই হয়নি। ফলে সাধারন শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর। অনেকেই বলেছেন ওই চোর ভিসির আত্মীয় হওয়ার কারনেই তার বিচার হলো না। বিষয়টি জানাজানি হলে কৌশলে চুরিকৃত বস্তুটি কতৃপক্ষকে ফেরত দিয়েছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, অতি সম্প্রতি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএলএসএস দিন উল ইসলাম রনি ইনফরমেশন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব থেকে প্রজেক্ট বোর্ড চুরি করে। পরে রনি প্রজেক্ট বোর্ডটি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর নিকট বিক্রি করে। পরদিন ওই ছাত্র জিনিসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বুঝতে পেরে রনির নিকট ফেরত দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজানি হলে প্রশাসন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ট চালায়। কিছু শিক্ষার্থী তাদের ল্যাবরেটরেিত ব্যাবহৃত বস্তুটি হারানোর পর ওই বিভাগের প্রধান মুনতাসির আহমেদের নিকট চোরের বিচার দাবী করে। পরে বিভাগীয় প্রধান বিচার না করে শিক্ষার্থীদের লিখিতভাবে প্রক্টরকে জানাতে বলে। শিক্ষার্থীরা তার কথামত লিখিত ভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামানকে জানান। গত কয়েকদিনেও প্রক্টর ওই চোরের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে এমএলএসএস দিন উল ইসলাম রনির নিকট থেকে হারানো ব¯ত্তুটি কৌশলে ফেরত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার বিচার করার এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে ল্যাব সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন বলে আশা করি। ওই চোর ভিসির আত্মীয় কিনা জানি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে ভিসি তার এলাকার এবং আস্থাভাজন হিসাবে দিন উল ইসলাম রনিকে এমএলএসএস পদে চাকুরী দেন। সে মাদক গ্রহন করার কারনে সে মাঝে মধ্যে চুরির মতো কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএলএসএস দিন উল ইসলাম রনি ভিসির আত্মীয় পরিচয়ে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মোজাফফর হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্বল্প মূল্য তাই প্যাথিডিনের উপর আসক্ত বাড়ছে
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনায় প্যাথিডিন নিয়ে নেশা করা ও আসক্ত লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্যাথিডিন এর প্রয়োগ কমছে কারণ দেশীয় কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যাথিডিন এর থেকে উন্নত মানের ঔষধ প্রস্তুত করছেন। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও পরামর্শক এর সাথে আলোচনা করে জানা গেছে এখন চিকিৎসাক্ষেত্রে মরফিন ও প্যাথিডিন নাই বললেই চলে। ইতিপূর্বে অপারেশনের পর বেদনানাশক হিসাবে একটি রুগীর জন্য সাধারণত একটি করে প্যাথিডিন দেওয়া হত। সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের গেটে চায়ের দোকানে জনৈক মাদকাসক্ত ব্যাক্তি জানায়, ফেনসিডিলের দাম প্রতি বোতল ৬শত টাকা অথচ একটি প্যাথিডিনের দাম ১৮০ থেকে ২১০ টাকা। ফেনসিডিলে ভেজাল থাকলেও প্যাথিডিনে কোন ভেজাল নাই। তাই মাদকাসক্তরা বর্তমানে প্যাথিডিন ব্যবহারে ঝুকছে। জনৈক আসক্ত ব্যক্তি আরো জানায় প্যাথিডিন আসক্ত এর সংখ্যা বর্তমানে দ্রুত গতিতে দ্বিগুণ হয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঔষধ ব্যবসায়ী জানায়, পাবনায় প্রচুর পরিমাণ প্যাথিডিন লাইসেন্স দেখা যায়। এমনকি এক একজনের নামে দুই তিনটি লাইসেন্সও রয়েছে এবং তাদের অনেকের কোন দোকানও নাই। তাদের তদবিরের জোরে বরাদ্দ বেশী, তাই তারা ডাক্তারের নামে ভুয়া প্যাড ছাপিয়ে ভূয়া ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে তাতে চধঃযধফরহব ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে নারকোটিক দপ্তরে বরাদ্দের হিসাব দেন। নারকোটিক দপ্তর বিশেষ তদবিরে তাদের ভূয়া ব্যবস্থাপত্রে প্যাথিডিন এর হিসাব গ্রহণ করেন। টেলিফোনে পাবনা’র নারকোটিক একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে তিন দিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পর প্যাথিডিন সংক্রান্ত ভূয়া ব্যবস্থাপত্র তারা যাচাই করেন কিনা জানতে চাইলে তারা কোন তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। শক্তিশালী প্যাথিডিন এর ব্যাপারে বিশেষ নজরদারী প্রয়োজন, তা না হলে যুব সমাজ ধংশের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হবে।
পাবনা ঈশ্বরদীতে গবাদি পশুর বাত জ্বর ও ক্ষুরা রোগ বৃদ্ধি ॥ পশু হাসপাতালে নেই ভ্যাকসিন
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনা ঈশ্বরদীর প্রত্যান্তঞ্চল জুড়ে গবাদি পশুর বাত জ্বর ও ক্ষুরা রোগ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় পশু হাসপাতালে এক ভাগও নেই এসব রোগের ভ্যাকসিন। গভীর ভাবে শংকিত উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন এলাকায় বাত জ্বর ও ক্ষুরা রোগে গরুর বাছুরের পাশাপাশি বড় বড় গরুও মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন জানান, এবছর অনেক আগেই আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত তিন দিনের বাত জ্বর ও মৌসুমী ক্ষুরা রোগের প্রাদুরর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত বছরের জুলাই মাস থেকে অর্থ বছরে ঈশ্বরদীতে ক্ষুরা রোগের জন্য মাত্র ১৯২ ডোজ ঔষধ এসেছে। অথচ মার্চ/২০১১ এর জরিপ অনুসারে ঈশ্বরদী উপজেলায় প্রায় ৪৭ হাজার গরু আছে। যে পরিমাণ ঔষধ এসেছে তা দিয়ে মাত্র ১৯২ টি গরুকেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। ক্ষুরা রোগের ঔষধের দাম বেশি হওয়ার কারণেই সরকারি ভাবে বেশি সরবরাহ করা হয় না। তবে তিনি দাবি করে বলেন, বাত জ্বর তিন দিন পরই ভালো হয়ে যায়। এতে কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু ক্ষুরা রোগে কিছু চিকিৎসা আছে। ক্ষুরা রোগ হলে পরিচর্যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। এই রোগেই গরুর বাছুরের মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশি বলে তিনি জানান। এদিকে উপজেলার সাহাপুর, লক্ষিকুন্ডা, ছলিমপুর, পাকশী, মুলাডুলি, দাশুড়িয়া, সাঁড়া ইউনিয়নসহ শহরের মধ্যেও ক্ষুরা রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই ছোট বড় গরু মারা যাচ্ছে। সরকারি ভাবে হাসপাতালে ক্ষুরা রোগের চাহিদা মোতাবেক ঔষধ না আসায় ব্যক্তি মালিকানা কোম্পানীগুলো ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন উচ্চ মূল্যে বাজারে ছাড়ছে। এতে প্রতি বছর ক্ষুরা রোগের ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানীগুলো গরু পালনকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরকারের এদিকে সু-নজর দেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
পাবনা ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে ভাসমান গলিত লাশ উদ্ধার
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা ঈশ্বরদীতে অজ্ঞাতনামা পুরুষের ভাসমান গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট এলাকা থেকে ‘পা’ বাধা অবস্থায় পানিতে ভাসমান অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন জানান, পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজের ৫ কিলোমিটার উত্তরে পদ্মা নদীর সাড়া ঘাট এলাকা দিয়ে মৃতদেহটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে সকাল দশটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলিত লাশটি উদ্ধার করে। ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। নিহতের পড়নে রয়েছে হাফ হাতা শার্ট ও প্যান্ট। তাৎক্ষনিকভাবে নাম পরিচয় কিছু জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, ৫/৭ দিন আগে তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান ওসি আকবর হোসেন।
পাবনা ঈশ্বরদীতে টর্নেডোঃ উড়ে গেছে ২৫টি বাড়িসহ শতাধিক আম-লিচুর গাছঃ ক্ষতির পরিমান ৭০ লক্ষ টাকা
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ টর্নেডোতে ২৫টি বাড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। টর্নেডোর তীব্রতায় উপড়ে গেছে শতাধিক আম, লিচু ও কাঁঠলের গাছ। এ কারনে একেবারে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছে ২৫টি পরিবার। সহায় সম্বল হারিয়ে বর্তমানে ওই পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, সকাল ৭ টার সময় মুহুর্তের মধ্যে ভয়াবহ টর্নেডো হানা দিলে বাবুলচারা গ্রামের ২৫টি বাড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় এবং টর্নেডোর আঘাতে উপড়ে যায় শতাধিক আম, লিচু ও কাঁঠলের গাছ। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতির পরিমান দাড়িয়েছে ৭০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ আমছের প্রাং ও মজিদ বিশ্বাস জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই টর্নেডোর আঘাতে মুহুর্তের মধ্যে তাদের সব শেষ হয়ে যায়। একই কথা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ আকবর আলী, ছারেজান, ইদ্রীস আলী, মহির উদ্দিন, হাকিম প্রাং, আইনাল বিশ্বাস, আকমল বিশ্বাস ও নজরুল ইসলাম প্রমূখ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এখনও ক্ষতিগ্রস্থদের কোন সাহায্যে-সহযোগীতা করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের উর্দ্ধতন মহলে অবহিত করা হয়েছে।
পাবনা ঈশ্বরদীর জয়নগর গ্রীডের পিডিবি’র পুড়ে যাওয়া পাওয়ার ট্র্যান্সফরমার বসানোর কাজ চলছে ॥ শীঘ্রই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রীডে সঞ্চালন লাইনে পুড়ে যাওয়া পাওয়ার ট্র্যান্সফরমার মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পিডিবি’র জয়নগর গ্রীডের ১০/১০ এম ভি এ দু’টি পাওয়ার ট্র্যান্সফরমার সম্প্রতি পুড়ে যায়। ফলে ১২ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ , নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ঈশ্বরদী পৌরসভা এবং পাবনাসহ অত্রাঞ্চলে ব্যপক বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দেয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল বরিশাল থেকে বিশাল আকারের পাওয়ার ট্র্যান্সফরমার মেশিন জয়নগর পিডিবি’র গ্রীডে এসে পৌছেছে। এই মেশিনের মাধ্যমে চলমান বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে বিভিন্ন লাইনে বিতরণ করা হয়ে থাকে। সূত্রটি জানায়, আগামি ১৫/১৬ এপ্রিলের মধ্যে মেশিন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে জয়নগর গ্রীডে ২৫ থেকে ৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান অত্রাঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদা ২৭ মেগাওয়াট। নতুন পাওয়ার ট্র্যান্সফরমার চালু করা হলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। তবে স্বাভাবিক লোডশেডিং থাকবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিরোধীদল অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে সাঁথিয়ায় স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী
মোবারক বিশ্বাসঃ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুলহক টুকু বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে এবং ক্ষমতায় আসার জন্য মানবতাবিরোধী শক্তি তৎপর হয়েছে। তাদের এই অপতৎপরতায় রুখতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতির রাষ্ট্রিয় অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা , বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থার নিশ্চিত করে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করনে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স এর কনফারেন্স রুমে উপজেলার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার (সিএইচসিপি) দের প্রশিক্ষনের উদ্বোধন কালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। পাবনার সিভিল সার্জন ডা. গাজিউল রহমানের সভাপতিত্বে উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ প্রধান আবুল কালাম আজাদ।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যদেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হক, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক আব্দুল¬াহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব রবিউল করিম হিরু, প্রশিক্ষনার্থী বিনা পারভীন ও উজ্জল হোসেন। পরে মন্ত্রী উপজেলা হাসপাতালা ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং এ অংশ গ্রহণ করেন।
পাউবোর নিষ্কাশন খালে অবৈধ বাঁধ পাবনা সাঁথিয়ায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার সাঁথিয়ায় বেড়া পাউবোর আই-৩, ডি-২ নিষ্কাশন খালে মাছ চাষের নামে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ায় প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার সাতানির চর এলাকায় কাগেশ্বরী শাখা নদীর আই-৩, ডি-২ প্রধান নিষ্কাশন ক্যানেলে মাছ চাষের নামে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার ৪টি স্থানে বাঁশের বানা, সুতিজাল ও মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে পানি বের হতে না পেরে নিষ্কাশন ক্যানেলের উজানে গজাড়িয়ার বিল, সোনাই বিল, মুক্তাহারের বিল, বাঘার গাড়া বিল ও আড়িয়াল বিলের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে পাট ও বাড়ন্ত ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের দাবীতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার কৃষকেরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট আবেদন করলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার এনামুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত বাঁধ অপসারনের নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। মৎস্য চাষী নওশের আলী, ইবাদ, রিয়াজ, সেকেন্দার আলী, মুজাই, মাহমুদ, শাহ আলম, আজম, আবু, আলি হোসেন জানায় তারা পাউবোর কাছ থেকে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। এব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, উন্মুক্ত নিস্কাশন ক্যানেল লীজ দেওয়ার কোন বিধান নাই।
Discussion about this post