মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে :- ময়মনসিংহ ত্রিশালে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনা নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। খবর শুনে ত্রিশাল থানার এস.আই শাহীন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ঘটনার বিবরণে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়নের এলংজানী গ্রামের মফিজ উদ্দিন (৪০) এর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কয়েকদিন যাবৎ ডায়রিয়া সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত ছিল। গত সোমবার রাত মনোয়ারা মৃত্যু হয়। মনোয়ারার এই মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পেরে তার আত্মীয় স্বজন ত্রিশাল থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ এস.আই শাহীন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন মফিজ তার স্ত্রীকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ায় স্ত্রী মনোয়ারার মৃত্যু হয় বলে তাদের ধারনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা বলেন জনৈক মফিজ পূর্বে আর এক বিবাহিত স্ত্রীকে এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছিল। মফিজের চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করেন ঐ মহিলা। তবে এস.আই শাহীনের সাথে কথা বলে উক্ত মুত্যুর ব্যাপারে কোন কিছু জানা যায়নি। তিনি ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কোন কিছু বলতে পারেননি। তিনি জানান ময়না তদন্ত রিপোর্ট হলেই বুঝা যাবে মৃত্যুর আসল রহস্য। তবে নিহত মনোয়ারা আত্মীয় স্বজনেরা এটাকে হত্যা বলে দাবী করছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে নিহত মনোয়ারার মা হাসনা বেগম ত্রিশাল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১৩ তারিখ ১৭-০৪-২০১২ইং।
ময়মনসিংহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায়, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা বিপাকে :
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে কৌশলগতভাবে ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আসন্ন প্রথম সাময়িক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। সূত্র মোতাবেক আরও জানা যায়, বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব অতিরিক্ত ফি ও বিভিন্ন চাঁদা বাবদ কৌশলে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এসব ফি এবং চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অকালে ঝরে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন। অনেক অভিভাবকেরা ফি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ছেলে মেয়েদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছে গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন কর্মস্থলে। বেড়ে যাচ্ছে শিশু শ্রম। অনেক শিক্ষার্থীরা ধার্য্য করা চাঁদা ও ফি দিতে না পারায় শিক্ষকদের শাসনের ভয়ে স্কুল ছেড়ে কর্মক্ষেত্রেই লিপ্ত হচ্ছে। এসব অতিরিক্ত ফি আদায়কারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ত্রিশালের ফাতেমানগর উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘাদারিয়া দাখিল মাদরাসা, হালিমা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈলর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যায়ল, দড়িকাঁঠাল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিপাড়া পাটুলী রহমত উচ্চ বিদ্যালয়, বড়মা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালী শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ভাবখালী দাখিল মাদরাসা, ভাবখালী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ভাবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজেদের ব্যবস্থা করতে হয় বলে আমরা খরচের অনুপাতে এই ফি ধার্য্য করিয়াছি। তথ্য মোতাবেক পাওয়া যায় বিদ্যালয়গুলির ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেণীতে ২০০/- টাকা, ৮ম শ্রেণীতে ২২০/-, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে ২৫০/- টাকা ধার্য্য করা হয়। কোন কোন বিদ্যালয়ে এর চেয়ে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অভিভাবক মহল।
Discussion about this post