মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আত্রাইশুকায় আই-৩/এস-১৯ ক্যানালে অবৈধ মৎস্য চাষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানালে ভাঙ্গন। সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত। দুটি গ্রামের ২ হাজার মানুষ পানি বন্দি। ১৫ টি মৎস্য প্রকল্পের ২ লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। বসত বাড়ি ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে মাধপুর, চিনাখড়া ও ২৪ মাইলের স্লুইজ গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। জানাযায়, পাউবো’র আই-৩/এস-১৯ ক্যানালে সাঁথিয়া উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের কামার পাড়া নামক স্থানে অর্ধ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে সুজানগর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের আকবর প্রামানিকের ছেলে আজিজ প্রামানিক দীর্ঘ দিন লীজ ছাড়াই অবৈধ ভাবে মৎস্য চাষ করে আসছে। ক্যানালের ভিতর পিড থেকে বড় পিডে প্রতি নিয়ত মাটির নিচ দিয়ে পাইপ লাগিয়ে পানি সরবরাহ করে আসছিল। এতে উক্ত স্থানের ক্যানালের মাটি দুই পাশ্ব থেকে সরে যায়। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে বিকট শব্দে উক্ত ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি ভেঙ্গে মুহুর্তের মধ্যে পানিতে আত্রাইশুকা গ্রামের আজিজের প্রকল্পসহ ১৫টি মৎস্য প্রকল্প ডুবে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি সাধন হয়। এমন কি আত্রাইশুকা ও বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের ২ হাজার মানুষের দুলাই বাজারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঐ দুই গ্রামের মানুষকে ১ থেকে দেড় কিঃ মিঃ ঘুরে বাজারে আসতে হচ্ছে। এ দিকে ক্যানালের পানিতে আত্রাইশুকা গ্রামের আব্দুল সামাদ, আকবর খাঁ, সোবাহান খাঁ ও রুহুল এর বাড়িসহ কমপক্ষে ৭ টি পরিবারের সদস্যরা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ঐ গ্রামের কিছু সংখ্যক ফসলি জমিও প্লাবিত হয়েছে। কৃষক চাঁদ আলী জানান তার পুকুরের ৭ মন মাছ ও সবজি বাগানসহ লিচু বাগান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জনৈক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আজিজ দীর্ঘ দিন তার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে ক্যানালে মৎস্য চাষ করে আসছে। তার অবৈধ দখলের কারণে ঐ ক্যানালে ছাগল চড়ানো নিষেধ করা হত। তিনি বড় পিটে মাছ চাষ করতে ভিতর পিট থেকে পাইপের দ্বারা পানি সরবরাহ করত। এ সংবাদে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে মাধপুর, চিনাখড়া ও ২৪ মাইলের স্লুইজ গেট বন্ধ করে দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর মামুদ শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধ মৎস্য প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে ক্ষতি গ্রস্থদের আশ্বাস দেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, জরুরী ভিত্তিতে ক্যানাল টি মেরামোত করা হবে।
পাবনা সুজানগরে সরকারী জমি দখল করে বাড়ী নির্মান করেছে প্রভাবশালী বি আর ডি বি কর্মচারী
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা সুজানগর পৈারসভার ভবানীপুর মৈাজা নং-৮৯ জি এল নং ২২ সরকারী জমি অবৈধভাবে দখল করেছে মাহাতাব আলী মৃধা নমে এক প্রভাবশালী বি আর ডি বি কর্মচারী। তিনি সুজানগর বি আর ডি বি অফিসে কর্মরত । পাবনা সুজানগর উপজেলার স্টেডিয়ামের ১নং গেটের প্রবেশ পথের বাম সাইডের সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করেছে। এর ফলে সুজানগর এক নং স্টেডিয়ামের পরিবেশ নষ্ট ও যাতায়াতের বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং টয়লেট ও টিউবোলের ময়লা আবর্জনার কারনে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সুজানগর নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারনে বিষয়টি বার বার ধামাচাপা পড়ে যায়। গতকাল ০৭/০৫/২০১২ ইং তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে তোফাজ্জল হোসেন, জায়দুল হক জনি, জালাল উদ্দিন শরিফ উদ্দিন সাইদুর রহমান মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগপত্র পেশ করেন। তারা জমিটি দখলমুক্ত করে স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান।
পাবনা চাটমোহরের বিলকুড়ালিয়ার খাসজমি প্রাপ্ত ভূমিহীনদের ঘরে ঘরে সোনালী ধানের সমারোহ
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার বহুল আলোচিত বিলকুড়ালিয়ার খাসজমির একসনা লীজপ্রাপ্ত দেড় সহস্রাধিক ভূমিহীন পরিবারে এখন নুতন বোরো ধানের উৎসব শুরু হয়েছে। খাসজমির একসনা লীজপ্রাপ্ত ভূমিহীনরা বিলে বোরো আবাদ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। ভূমিহীন কিষাণ-কিষাণীরা চোখে মুখে এখন সোনালী হাসির ঝিলিক। বিলে চাষকৃত ৩৭০ একর জমিতে এখন চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব। চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বিলকুড়ালিয়ার ৩শ’ ৭০ একর খাসজমি বিলপাড়ের ১৪ টি গ্রামের ১ হাজার ১৯০ জন ভূমিহীন একসনা লীজ পেয়েছে। আরো ৩শ’ পরিবার লীজ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থা (এলডিও) সংগঠিত এই দেড় হাজার পরিবার ৩৭০ একর খাসজমিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ করে। বিগত একযুগ ধরে সংগঠিত ভূমিহীনরা খাসজমি দখলে রেখে সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ‘রিসিভার’ কর্তৃক একসনা লীজ প্রাপ্ত হীেয় চাষাবাদ করছে। ১৯৯২ সালে বিলপাড়ের সংগঠিত ভূমিহীনরা খাসজমি দখল করে জোতদার ভূমিগ্রাসীদের হটিয়ে। এরপর হামলা, মামলা-মোকদ্দমা, নানা অপপ্রচার মোকাবেলা করে ভূমিহীনরা খাস জমি নিজেদের দখলে বেখে চাষাবাদ করছে। জোতদারদের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিহীন পল্লী পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে একাধিক বার। সম্প্রতি ভূমিগ্রাসী কর্তৃক হাইকোটে রীট দায়ের করার পর একসনা লীজ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এর আগে এই খাসজমি নিয়ে ভূমিগ্রাসীদের দায়ের করা ভূমি আপীল বোর্ডে দায়ের করা দুটি আপীল মামলার রায় সরকারের পক্ষে হয়। কথিত পত্তনী কেস পাবনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাতিল হবার পর ভূমিগ্রাসী আব্দুস সোবাহান, আঃ রহিম পিং রাজশাহী কমিশনার আদালতে মামলা করেন। সেখানে হেরে যাবার পর তারা ভূমি আপীল বোর্ডে মামলা করেন। ২০০৮ সালে আপীল মামলার রায় হয় সরকার পক্ষে। এরপর তারা হাইকোর্টে রীট দায়ের করেন। রীট চলাকালে একসনা লীজ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভূমিহীনরা খাসজমি দখলে রেখে চাষাবাদ অব্যাহত রাখেন। ভূমিগ্রাসীদের দায়ের করা রীট মামলাটি খারিজ হবার পর বিলকুড়ালিয়ার খাসজমির রিসিভার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূমিহীনদের মাঝে একসনা লীজ প্রদান করেছেন। ভূমিহীন নেতা আনোয়ার হোসেন, গাজীউর রহমান, হাসান আলী, তৈয়ব, ছামির, বাহারসহ অন্যান্যরা জানান, তারা এবার শান্তিপূর্ণভাবে বিলের খাস জমিতে বোরো আবাদ করেছে। ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ভূমিহীন নেত্রী রাশিদা, রোমেছা, ছানোয়ারাসহ অন্যান্যরা জানান, দিনরাত ধানের জমি পাহারা দেয়া হয়েছে। যাতে ভূমিগ্রাসীরা কোন ক্ষতি করতে না পারে। এখন নারী-পুরুষ মিলে বিলের ধান কাটা ও মাড়াই কাজ চলছে। তাদের ঘরে ঘরে সোনালী ধানের সমারোহ। ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান রানা জানান, এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিলের ৩৭০ একর খাস জমিতে ২৫ হাজার মন ধান উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, বিলকুড়ালিয়ার খাসজমির চার যুগের পুঞ্জিভূত সমস্যার অনেকটাই সমাধানের পথে। খাস জমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমেই দীর্ঘদিনেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। ভূমিহীন নেতৃবৃন্দও খাসজমির স্থায়ী বন্দোবস্তের দাবি জানিয়েছেন। আতাউর রহমান রানা জানান, খাসজমির উৎপাদিত ফসলে ভূমিহীন পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। ভূমিহীন পরিবারের সন্তানরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নানা রকম প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ভূমিহীনদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বিলপাড়ের ভূমিহীন পরিবারগুলোর আনন্দ-উল্লাস।
পাবনা আতাইকুলায় অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার আতাইকুলায় একটি শাটার গান ও ২ রাউন্ড গুলিসহ এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে আতাইকুলা থানার বরইবাড়িয়া গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে মোতালেব হোসেন টুরু (৩৫)।
থানা সুত্রে জানা য্ায় গত কাল সোমবার দুপুর ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আতাইকুলা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই নাজমূল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চাালিয়ে সাথিয়া থানার দরিজগনাথপুর গ্রামের মাঠ হতে একটি শাটার গান ও ২ রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। টুরু এল এম লাল পতাকার (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পাবনা আটঘরিয়ার চৌকিবাড়ী মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে হজ্ব ব্যবসায় প্রতারণার মামলা
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা আটঘরিয়া থানার চৌকিবাড়ী মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আঃ মজিদের বিরুদ্ধে হজ্ব ব্যবসায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা নং ১০৫/১২। আটঘরিয়া মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল গফুর মিয়া এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুল গফুর মিয়া চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর হজ্ব পালনের জন্য ঢাকার মাহদী ওভারসীজের অনুকুলে ২৫ হাজার টাকা জমা দেন। তিনি অবসরকালীণ সরকারি ভাতা না পাওয়ায় হজ্বে যেতে না পারার কথা জুলাই ২০১১ প্রথম সপ্তাহে মাহদী ওভারসীজের এজেন্ট মাওলানা আঃ মজিদকে জানিয়ে দেন। এরপর আঃ মজিদ সেপ্টেম্বর/১১ মাহদী ওভারসীজের এক রশিদের বলে আঃ গফুর মিয়ার কাছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মক্কায় বাসা ভাড়া বাবদ দাবী করেন। ১ অক্টোবর ২০১১ মাঃ আঃ মজিদ জোড়পূর্বক আঃ গফুর মিয়ার কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক আটঘরিয়া শাখার অনুকুলে ১ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক আদায় করেন। ২৫ জানুয়ারী ২০১২ মাঃ আঃ মজিদ ওই চেক ব্যাংকে জমা না দিয়ে আঃ গফুর মিয়ার বাড়িতে গিয়ে নগদ টাকা দাবী করেন। এ ব্যাপারে আঃ গফুর মিয়া আটঘরিয়া থানায় জিডি করেন। জিডি নং ৯৭৮/১১ ইং। এদিকে মওঃ আঃ মজিদ মাহদী ওভারসীজের যে রশিদ বলে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দাবী করছেন সে রশিদ ওই সংস্থার কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । অধ্যাপক আঃ গফুর মাহদী ওভারসীজে ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে যে রশিদ নিয়েছেন ওই রশিদের সাথে আঃ মজিদের রশিদের কোনো মিল নেই। এছাড়াও মক্কা হজ্ব চুক্তিতে ১০০ জন হাজীর মধ্যে যে বাসা ভাড়া চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী প্রতিজন হাজীর জন্যে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা হলেও আঃ গফুরের কাছে বাসা ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দাবী করা হয়েছে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
মোবারক বিশ্বাস ঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর সন্ধান এবং যুগ্ম মহসচিব রিজবী আহমেদের মুক্তির দাবীতে গত কাল সোমবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ভাঙ্গুড়া যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মাছ বাজার থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে দলীয় কার্যলয়ের সামনে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম কাউন্সিলার, রফিকুল ইসলাম,আনছরুল ইসলাম , পলাশ, জিল্লুর রহমান, পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের যুবনেতা ময়নুল হক, মিজানুর রহমান, আসাদ প্রমুখ। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মী প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ।
Discussion about this post