স্থাপিত ঃ মে ০৩, ১৯৯৪ Estd. May 03, 1994
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র ১ম বার্ষিকীর সাহসী যাত্রী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অনন্য প্রতীক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা
বাপ্সনিউজ এজেন্সী/BAPSNEWS AGENCY
বাংলাদেশ-আমেরিকান প্রেস সার্ভিস/ Bangladesh-American Press Service
হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপস্িনউজ: ইদানীং বেশ কিছু লেখা প্রকাশ হয়েছে “ বাংলাদেশী আমেরিকানস @ গুগোলডট.নেটে” । সাংবাদিক মহলে বেশ দৃস্টি আর্কষন করেছে এ ব্যাপারটা। জাতির বিবেক নামক একজন লিখেছেন খুব মোলায়েম প্রলেপ দিয়ে। নীতিবাচক এবং স্বাশ্রয়ী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে সুন্দর এবং মার্জিতভাবে।সমাজে সর্বস্থরে বিভিন্ন জনের মতামতকে নিয়ে একটা “ডাইভার্সিফাইড কমন গোলে” সবাইকে পৌঁছতে হয়। বেশ কটি উত্তর যে আসেনি তা নয়। এ’ নিয়ে হাকিকুল ইসলাম খোকন কথা বলেছেন , বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড
( বেইন )-এর প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম প্রিন্সের সাথে। প্রেসিডেন্ট সাহেব আপনি এমন একটা প্রচারনা করলেন, খাবার সংক্রান্ত ব্যাপারে; আপনার নিউ ইংল্যান্ডবাসী সহজভাবে নিতে পারছে না ? বলবেন কী?
আবার কেন ঈদের দিনে , ঈদ র্পুণ মিলন করতে যাচ্ছেন?
বেশ ! তাহলে বলছি। নিউ ইংল্যান্ড বাংলাদেশী অভিবাসীরা এসেছেন গত পঞ্চাশ বছর আগে বা তার উপরে। তখন যাঁরা এসেছিলেন, ভিন্নমূখী ‘ এক্সপার্টিজ’ অথবা গবেষনার কাজে ; তারপর কেহ কুটনৈতিক বা উচ্চতর পড়াশুনা, বিজ্ঞান, কৃষি,সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞানের পান্ডিত্য অর্জনের জন্যে এসে আর যাওয়া হয়নি। দ্বিতীয় স্থরের আমরা যারা, ঢাকা বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পিতা-মাতার অর্থে নির্ভরশীল হয়ে, আমেরিকায় উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে আর দেশে ফিরে যাই নি। এরকম হয়তো, জাতির বিবেক তিনি ও একজন্ । যখন নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হেম্পসায়ার ইউনিভার্সিটি সকালে, দুপুরের মাত্র কুড়ি ঘন্টা চাকরী হপ্তায়, গেদার মত হয়ে বসবাস ছিল। সেই দিনগুলোর কথা, আজ কেহ বুঝতে চেষ্টা করবেন না। হন্যে হয়ে চেয়ে থাকতাম, কখন কে; ইফতারীতে ডাকবে। ঈদে, চাঁদে কেহ নেই।আজ বড়, বড় প্রতিষ্ঠান হয়েছে। ব্যবসাদার হয়েছেন, এলিটরা আছেন, কিন্তু এখনো প্রলিতারেৎ যে নেই ; কারো সাধ্যি আছে বলবার। সেই এক অদৃশ্য কাঁচের প্রাচীর। যা আমি দেখেছি, দেখেছেন আমার সাথে অনেকে। সেই দূর্দিনে, ছাত্র জীবনে। ভাতের স্বাধ কতদিন মনে করতে পারিনি। ব্রেড এন্ড চীজ। তাই আজ , এই টুকু আমার একটা স্বর্নিবন্ধ আবেদন, এবং অনুভ’তি প্রকাশ করতে চেয়েছি। একমাত্র তাদেরি জন্যে, যাদের কেহ নেই, এই পরবাসে। আমাদেরকে বড়ভাই বলে ডাকেন, চাচা, মামা বলে ডাকেন। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি যাদেরর অন্বেষন, একটুকু ভাল থাকবে মা বাবা, ভাইবোন দেশে, নিজেও শত শ্রমের মাঝে ; একটুকুন দেশের মত করে ঈদকে মাত্র কিছু সময়, ক’ টা
অনুকল্পের জন্যে অনুভব করবে। আমি তাদেরি জন্যে এবার সময়টাকে ্উৎর্সগ করেছি। যদি ফল না হয়। তবুও চেষ্টাতো করেছি। আমি বলতে চেয়েছি, সবার ঘরে সেদিন পাক হয়, মনটা থাকে উদার অন্যকে বিতরন করবার জন্যে। এই একটা সুযোগ কেন করে দিলাম না ? সবার জন্যে। সবাই কেন আমরা পারি না , মাত্র দুই-তিন ঘন্টার জন্যে। একে অপরকে বুকে ধরে, তারপর না হয় পারিবারিক আত্মীয়দেরর কাছে সূখানুভ’তির আদান-প্রদান করবো। আমরা কেন, পারি না, একটা দৃষ্টান্ত নিয়ে আসতে? কেন এত দরিদ্র চিন্তায়। এই একটা মাত্র দিন, আমরা বেইনের মাধ্যমে ঈদের আনন্দকে সবার কাছে বিলিয়ে দিতে। খোকন সাহেব, আশা করি আমার কী উদ্দেশ্য এবং ‘ এটিচ্যুড্’ কী ছিল; সবাই বুঝতে পারবেন এবং সহযোগীতা করবেন। ভাই জাতীর বিবেককে অনুরোধ করবো , আমাদের প্রতিষ্ঠানকে সহযোগীতা করবার জন্যে। আমার এবার ঈদ- মিলন করতে যাচ্ছি, ঈদের দিনে। পূর্ণ- মিলনের সুযোগ থাকবে আমাদের এখানে অনেক ‘সিস্টার অর্গানেইজেন’ হয়েছে; তাদেরও জন্যে।আসুন , একটা শুভ কাজে সবাই একসাথে বাংলাদেশের মহানুভবতাকে ধরে রাখী ।
এই ছিল শহিদুল ইসলাম প্রিন্সের বক্তব্য।
Discussion about this post