এস.এম.শারফুদ্দীন সোহেল কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃকিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক এ.কে.এম মুসা, মোঃ লুৎফুর রহমান, মোঃ মিজবাহ উদ্দিন, মোঃ সাদেকুর রহমান, মৃনাল কান্দি দেবনাথ, মোঃ মজিবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক নেতা মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, মাননীয় মন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাজিতপুর নিকলী সংসদ সদস্য, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, ঢাকা বিভাগ, জেলা প্রশাসক কিশোগরঞ্জ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় উপ-পরিচালক দুর্নীতি ব্যুরো সেগুনবাগিচা, ঢাকা, বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লা চলতি অর্থ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম শ্রেণী হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। ২০-৩০ হাজার কপি সিলেবাস বিক্রয় করে প্রচুর অর্থ বাণিজ্য করেছেন। শিক্ষকদের বদলী করণেও তিনি হাজার হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, তার কায্যার্লয় সুসজ্জিত করার জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা গ্রহণ করেন। অভিযোগ সূত্রে আরও জানান, শিক্ষকদের টাইম স্কেল ইবি ক্রয় করাসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন ন্যায্য পাওনা হতে ঘুষ দাবী করেন। গত ঈদুল ফিতরের সময় ১০০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল হতে প্রতি শিক্ষকের ৫০০ টাকা ঘুষ বাবদ কয়েক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এছাড়া তিনি ৩টি পরীক্ষায় নিন্মমানের কাগজের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরী করেন ও এসব প্রশ্নপত্র থেকেও তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাজিতপুর প্রাথমিক শিক্ষক নেতা মোঃ মজিবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের হয়রানি করছেন। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের বদলী ও ডেপুটেশন দিতে গিয়েও ঘুষ দাবী করে আসছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেলে তিনি জানান , তার অপর আনিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
করিমগঞ্জ বাজারে বজ্রপাতে ১২টি দোকানে আগুন, আহত ৫
এস.এম.শারফুদ্দীন সোহেল কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃগতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা বাজারে বজ্রপাতের সৃষ্ট আগুনে ১২টি দোকান পুড়ে যায়। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। আগুনে প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।আহতরা হলেন-জাকির (২৮), আবুল খায়ের (৪২), হেলিম (৪৫), এখলাছউদ্দিন (২৫) ও কাইউম (২৩)। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের সৃষ্ট আগুনে করিমগঞ্জ উপজেলা সদর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ১২টি দোকানে আগুন ধরে যায়। এ সময় দোকানে কেউ ছিল না। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভির্সের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
Discussion about this post