সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : তিনি নামধারী যুবলীগ নেতা। নাম কামরুল ইসলাম। নিজ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির কোথাও নাম নেই ওই নেতার। পড়া লেখা কম হলেও ভাব ভঙ্গিমা কেন্দ্রীয় নেতাকে ও হার মানায়। তিনি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি প্রার্থী। আয় রোজগার যাই হোক ছবি দিয়ে রঙ্গিন পোষ্টার সাটিয়েছেন। মামলার বাদীকে হুমকি দিতে তিনি ভাড়ায় গিয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন কড়ায় গন্ডায়। প্রার্থী নেতার কাজ করেছেন ক্যাডারের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় নারী নির্যাতন আইনে দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় ওই যুবলীগ ক্যাডারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বাদী শাহানা বেগমের বসতঘর ভেঙে তছনছ করে মালামাল লুটে নিয়েছে। আজ সোমবার উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর কালীকচ্ছ কলেজপাড়ার মো. জামির মিয়ার স্ত্রী শাহানা বেগম ইউনিয়নের দক্ষিণ কালীকচ্ছ গ্রামের মৃত ময়দর আলীর ছেলে মো. হাবিব মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলাটি আমলে নিলেও আসামি বীরদর্পে এলাকায় ঘুরাফেরা করে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী কালীকচ্ছ সূর্যকান্দি গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মো. কামরুল মিয়া ও শাহানার দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামী হাবিব মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে শাহানার বসতঘর ভেঙে এর মালামাল লুটে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির নারী-পুরুষদের মারধোর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। শাহানা বেগম জানিয়েছে, এলাকার চিহ্নিত ভূমি সন্ত্রাসী ও নারী লিপসু হাবিব আমাকে ধর্ষণের চেস্টা করেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা দিলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেনি। হাবিবের পক্ষ নিয়ে সন্ত্রাসী কামরুল মামলা তুলে নিতে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা দিনদুপুরে আমার একমাত্র বসতঘর ভেঙে দিয়েছে এবং ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post