পাবনা থেকে মোবারক বিশ্বাসঃ শাহবাগের আন্দোলনরত ব্লগারদের নাস্তিক ও মুরতাদ ঘোষনা করে তাদের বিচার দাবি করেন। কুরআন ও সুন্নাহ রক্ষা করতে প্রয়োজনে ইসলামের জন্য শহীদ হতে প্রস্তত। নবিজী শিখিয়েছেন জিহাদ করে বাঁচতে হবে। নস্তিকদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না। পাবনার প্রধান সড়কগুলো শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে । পাবনা চাঁপা মসজিদে সামনে জুমা’র নামাজ শেষে গতকাল শুক্রবার পাবনার প্রতিটি মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে মুসুল্লিরা সমবেত হয়। সেখান থেকে হাজার হাজার তৌহিদি জনতার একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড হয়ে পুলিশ লাইনের সামনে দিয়ে দিলালপুর দই বাজার মোড় ও দোয়েল চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে চাঁপা মসজিদের পেশ ইমাম বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ব্লগাররা ইহুদি খৃষ্টানদের হয়ে এ দেশে ইসলাম ও আমাদের নবিজিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করছে। যা বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না। আমরা জীবন দিয়ে হলেও এই সব ইসলাম বিদ্বেষি কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সেখানে বক্তব্যর মাঝে রাজিব এর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, শাহবাগের ব্লগাররা ইসলামের শত্র“, নিপাত যাক, সরকারের কাছে নাস্তিদকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে শ্লোগান দেন মুসুল্লিগণ। নবীজির চরিত্র নিয়ে যে সব ব্লগার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে তাদেরকে প্রকাশ্যে বিচারের দাবি জনান। সমাবেশ চলাকালে তৌহিদি জনতা পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে অবস্থিত গনজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করেন। এরপর তারা আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ভাংচুর করেন। মুসুল্লিগণ ব্যনার ফেষ্টুন ছিরে ফেলেন । পুলিশ এ সময় ব্যাপক লাঠিচার্য করে এবং ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে ১০জন মুসুল্লিকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের লাঠিচার্যে প্রায় অর্ধশতাধিক মুসুল্লি আহত হন। পুলিশ মুসুল্লিদের ব্যাপক লাঠিচার্য ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করলে তৌহিদি জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এদিকে আওয়ামীলীগ অফিসে হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ মিছিল বের করে দলের নেতা-কর্মীরা। মিছিল থেকে আব্দুল হামিদ রোডে অবস্থিত ইসলামি ব্যাংকে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর করে। এ সময় অর্ধ শতাধিক পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। শহরের পরিস্থিতি থমথমেভাব বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়ে অবস্থান করছে। শহরের গুরত্বপূর্ণ অবস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন রয়েছে। যে কোন ধরনের সংঘর্ষের আতংকে লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান।
Discussion about this post