শ, ই, সরকার জবলুঃ সাপ্তাহিক সুরমার ঢেউ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. এম জি মৌলা মিয়া আবারও সিআইপি (কমার্শিয়াল ইম্পোর্টেন্ট পারসন) নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার দুই ক্যাটাগরিতে মোট ১৩ ব্যক্তিকে ২০১০ সালের জন্য সিআইপি নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে ১০ জনকে উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী হিসাবে এবং ৩ জনকে বাংলাদেশী পণ্যের আমদানি-কারক হিসাবে সিআইপি নির্বাচন করা হয়েছে। এরা মূলত অনাবাসী বাংলাদেশী। বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী ১০ জন সিআইপি’র মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রয়েছেন মাত্র দু’জন। জানা গেছে- এসব সিআইপিরা তাদের পরিচয়পত্রের মেয়াদকালীন সময় বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবার ক্ষেত্রে বিবেচিত হবেন। দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিদেশের বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন। তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার ও স্পেশাল হ্যান্ডলিং সুবিধা পাবেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী দু’জন বাংলাদেশীর মধ্যে একজন হচ্ছেন- ডঃ এম জি মৌলা মিয়া। তিনি এর আগেও একাধিকবার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। বৃটেনের রাজনগর ইন্টারন্যাশনাল গ্র“প অব বিজনেস ইউকে এর স্বত্ত্বাধিকারী সফল ব্যবসায়ী ডঃ এম জি মৌলা মিয়া বিদেশ বিভূঁইয়ে অর্থ-বিত্ত, প্রাচুর্য্য, সাফল্য, যশ, খ্যাতি ও আরাম-আয়েশে থেকেও দেশ মাতৃকার টানে বার বার ছুটে আসেন বাংলাদেশে। প্রবাসের কষ্টার্জিত অর্থ সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায় নিজ জন্মভূমি-মাতৃভূমি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলস প্রয়াস। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি তার নিজ জন্মস্থান মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ভবন নির্মান সামগ্রীর অত্যাধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমবিএম বিল্ডার্স মার্ট বিডি-ইউকে লিঃ। ভবন নির্মানের সকল মালামালসহ যা কিছু প্রয়োজন, তা সবই এখানে পাওয়া যাবে। একই ছাদের নীচে ভবন নির্মানের সকল মালামালসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনাকাটা করার মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই প্রথম ও একমাত্র। একইসাথে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এমবিএম মিডিয়া নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তারই সম্পাদনা ও প্রকাশনায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে সুরমার ঢেউ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা- যা বাংলাদেশ ও বৃটেনে একযোগে প্রচারিত। বাণিজ্যমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া এ দুটি প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এমবিএম এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি বিডি-ইউকে। সিলেট বিভাগের গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত উন্নত গুনগত মানসম্পন্ন রাজনগর ব্র্যান্ডের আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, চা, লবন, চিনিগুড়া সুগন্ধি চাল ইত্যাদি এ প্রতিষ্ঠানেরই পণ্য। অচীরেই এ প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করতে যাচ্ছে রাজনগর ব্র্যান্ডের গুড়া মসলা। সেইসাথে, বাজারজাত করতে যাচ্ছে রাজনগর ব্র্যান্ডের চাল, ডাল, চিনি, আটা, ময়দা ইত্যাদির ২৫ ও ৫০ কেজির বস্তা। এসব পণ্য বৃটেনে রপ্তানী করার পরিকল্পনাও রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত ইষ্ট ওয়েষ্ট প্রপার্টি ডেভলাপমেন্ট এন্ড রিয়েল এস্টেট বিডি-ইউকে এবং এমবিএম ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এন্ড ট্রাভেল এজেন্সি বিডি-ইউকে অচীরেই বাংলাদেশে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। বৃটেন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ডঃ এম জি মৌলা মিয়া সিআইপি একজন বন্ধুবৎসল, দানশীল, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী হিসাবে বৃটেন ও বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত। বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই, বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগে প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ইত্যাদিকে খোঁড়া অজুহাত উল্লেখ করে ডঃ এমজি মৌলা মিয়া বলেন- এটা একটা জুজুর ভয় ছাড়া কিছুই নয়। বিনিয়োগ করার আগেই এসব জানা গেল কিভাবে ? প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সু-পরিবেশ বিরাজমান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ তো নয়ই, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক সহজ। বাংলাদেশের শ্রম বাজার বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে অনেক সস্তা। প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক,কোন জটিলতা নেই এবং আমি এধরনের কোন পরিস্থিতিতে পতিত হইনি। সকল ক্ষেত্রেই আমি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। আজ পর্যন্ত কোথাও আমার কোন ফাইল আটকে থাকেনি। আমার মত বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী আরও অনেক প্রবাসী রয়েছেন। কেউই তো কোন সমস্যায় পড়েননি। আমি সকল প্রবাসীকে আশ্বস্থ করছি এবং আহবান জানাচ্ছি- বাংলাদেশে নির্ভয়ে বিনিয়োগ করুন। সকল ক্ষেত্রেই সরকার ও জনগণের সবরকম সহযোগীতা পাবেন। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগে সব সধরনের সহযোগীতা প্রদানে সদা প্রস্তুত রয়েছেন। প্রয়োজনে আমার সহযোগীতাও নিতে পারেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আমি সবধরনের সহযোগীতা করার আশ্বাস দিচ্ছি।
Discussion about this post