মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকা বগাবাড়ী গ্রামের দিনমজুর মো: ফুল মিয়া ও গৃহিনী জমিলা আক্তারের ছেলে শরিফুল ইসলাম ২০১৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। দারিদ্রতা ও চরম আর্থিক অনটন দমিয়ে রাখতে পারেনি শরিফের মেধাকে। দিনমজুর ফুল মিয়ার ছোট্ট ঘরে তার পড়ার মতো জায়গা ছিল না বিধায় সে পার্শ্ববর্তী ছিদ্দিকুর রহমান ওরুফে হারুন ডাক্তারের বাড়িতে সমবয়সী চাচা রনির টেবিলে পড়ালেখা করে। প্রাইভেট পড়ার মতো অর্থের যোগান দেয়া তার বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে অতিকষ্টে বন্ধুদের নিকট থেকে নোট সংগ্রহ করে দৈনন্দিন লেখাপড়া চালিয়েছিল শরীফ। শরীফ জানায় তার শিক্ষক মো. শরিফুর রহমান মুন্সী ও মো. ফায়েজুল ইসলাম আখন্দ তাকে বিনামূল্যে শিক্ষার কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। সে ৫ ভাই বোনের মধ্যে বড়। আর্থিক অনটনের কারণে সে নিজে তার বাবার সাথে অন্যের জমিতে কাজ করে অর্থের যোগান দিতো। শরিফুলের বাবা ফুল মিয়া জানান, শরিফের এসএসসি পরিক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা আমি দিতে পারিনি। তার চাচাত মামা কাজী ফুরকান উদ্দিন ফরম ফিলাপের টাকা দিয়ে পরীক্ষার দেয়ার সুযোগ করে দেন। আমার সংসারে তিন বেলা ঠিক মত খাবার জোটেনা। আমার ছেলে পরীক্ষায় ভাল পাশ করেছে শুনে অনেক খুশি অইছি। অর্থের অভাবে শরিফুল হয়তো কোন ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। মেধাবী শরিফুল সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছে।
Discussion about this post