দুরন্ত খবরঃ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে যাত্রী সাধারণকে ডেমো ট্রোনের সাধারণ টিকেন সরবরাহ না করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবড়িয়ার কসবা রেল স্টেশনের ৩ কর্মকর্তাকে ৭৮ হাজার ২শত টাকা জরিমানাসহ এক কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে।
তথ্যসুত্রে জানাযায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো: আবুল কাশেম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশপত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে প্রায় দুইমাস যাবত কসবা রেলস্টেশনে ডেমো ট্রেনের যাত্রীদেরকে সাধারণ টিকেন সরবরাহ না করায় এবং সরকার ব্যাপক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ দোষীদের এই শাস্তি দেন। জরিমানা প্রদানকৃত কর্মকর্তাগণ হচ্ছেন স্টেশন মাস্টার পি.কে বড়–য়া, সহকারী ষ্ট্রেশন মাস্টার মো: আবদুল জব্বার ও মো: জসিম উদ্দিন। তন্মধ্যে সহকারী ষ্ট্রেশন মাস্টার মো: আবদুল জব্বারকে স্ট্যান্ডরিলিজ করে লালমাই ষ্ট্রেশনে বদলি করা হয়েছে।
শুক্রবার ১৫নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগাম থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী এক্সপেস যুগে একবস্তা ডেমো ট্রেনের টিকেট কসবা রেলষ্টেশন পৌঁছানো হয়েছে।
অপরদিকে কসবায় আন্তঃনগর উপকূল, পাহাড়িকা ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্টেশনে বুকিং কার্ক হিসেবে মো: গিয়াসউদ্দিন যোগদান করলেও তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। উচ্চ দামে যাত্রীদের টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপস্থিত বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, স্টেশনে ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কালোবাজারি টিকেট বিক্রেতাদের যোগসাজসে এহেন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ষ্টেশনের কিছু অসাধু বক্ত্যি। এতে ১৩৫ টাকার টিকেট ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় যাত্রীসাধারণকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার পি.কে বড়–য়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডেমো ট্রেনের টিকেট পাওয়ার ব্যাপারে পূর্ব থেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার ফলে গতকাল শুক্রবার ডেমো ট্রেনের টিকেট চট্টগ্রাম থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য “কসবায় আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেটের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ” এবং “ডেমো ট্রেনের টিকেট না থাকায় যাত্রী সাধারণের চরম দুর্ভোগ” শিরোনামে কয়েকটি সংবাদ পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কসবার সাধারণ যাত্রী রেহাই পাচ্ছেন না টিকেট কালোবাজারির হাত থেকে।
Discussion about this post