আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন তা আপনার অগোচরে গোয়েন্দারা যেমন যেনে নিতে পারে তেমনি আপনার সঙ্গে থাকা স্মার্টফোনটিও অগোচরে আপনার সব তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিতে পারে। আপনার পেছনে কোনো গোয়েন্দা না থাকলেও মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশনের লোকেশন ট্র্যাকিং বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় লোকেশন বা অবস্থান ট্র্যাক করার বিষয়টিতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন লোকেশন ট্র্যাকিং করে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করে।
সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন(এফটিসি)।
এফটিসি জানিয়েছে, প্রায় এক কোটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়াই সংগ্রহ করেছে গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি নামের একটি অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
প্রযুক্তি গবেষকেরা জানিয়েছেন, গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি যা করেছে তা অধিকাংশ অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেই ঘটছে। জিপিএস ট্র্যাকিং করে ব্যবহারকারীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন ব্যবসা করছে তারা।
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড প্রসঙ্গে গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো অ্যাপ্লিকেশন লোকেশন ট্র্যাকিং করে কিনা তা ডাউনলোডের আগে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও এক্ষেত্রে অ্যাপটির প্রাইভেসি পলিসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার নীতিটিও পড়ে নেওয়া উচিত। এ বিষয়টি অনেকে জানলেও পড়ে দেখেন না। প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে অনেক অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাকেও প্রতারণা করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে তাই ব্যবহারকারীর সতর্কতা প্রয়োজন।
গবেষকেরা বলেন, জিপিএস ট্র্যাকিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীরা কোথায় যাচ্ছেন বা কী করছেন সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে অ্যাপ নির্মাতারা। এ বিষয়টিতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। গবেষকেরা স্মার্টফোনের সেটিংস থেকে তথ্য সংগ্রহকারী অ্যাপ বন্ধ করে রাখারই পরামর্শ দিয়েছেন।
Discussion about this post