মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, কুয়েত সংবাদদাতাঃ কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দূতাবাস, বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টসহ কুয়েতে কর্মরত প্রবাসিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক সংগঠন নানা কর্মসূচিতে পৃথকভাবে এই দিনটিকে পালন করেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, আলোচনা সভা এবং প্রামান্য চিত্র পদর্শন। দিনের শুরুতে সকাল ৮টায় দূতাবাস চত্ত্বরে কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। পরে দূতাবাসের হলে মিশনের উপ-প্রধান এস.এম মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিমুল গনি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খাঁন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব মোহাম্মদ আবদুল জলিল এবং পররাষ্ট্র প্রতি-মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন সোনালী ব্যাংক কুয়েত প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন পাটোয়ারী। কুয়েত প্রবাসী অনেকেই এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য দেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মহান এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ মাইনুল ইসলাম।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট (বিএমসি) কুয়েত সদর দপ্তরে প্রীতি ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কুয়েত ও বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর অসংখ্য কর্মকর্তা ও গন্যমান্য অতিথি এই অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বিএমসি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম শামীম-উজ-জামান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি স্বাগত জানান। সে সময় তিনি বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
Discussion about this post