যুবকরা সমাজের বোঝা নয় শক্তি, কিন্তু ৪৪ বছর তা হয়নি যুব সমাজ সবার আগে অবহেলিত আল আমিন রানা ঃ ———————————-দেশের জনসংখ্যা বিরাট অংশ বেকার। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলো, আজো স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি,ক্ষুধা, মঙ্গা ও দারিদ্রতা আমাদের দেশ থেকে দূর হয়নি একটি দেশ স্বাবলম্বী হতে ৪৩ বছর কি যথেষ্ট নয়? দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আরও কত বছর লাগবে এ প্রশ্নটা রইলো দেশের বিবেকবানদের কাছে। এ ৪৩ বছর আমরা কি পেলাম। দেখলাম দেশের সমস্ত সম্পদ লুন্ঠিত যৎসামান্য বিকৃত চেহেরার রাজনীতিবিদ নামধারীদের,আমলা কামলাদের দ্বারা। এরাই যুব সমাজকে বিপদে রাস্তায় ফেলে দিয়ে তাদের চরিত্র হনন করছে। বিপদগ্রস্থ যুব সমাজ দিশাহারা হয়ে পথে প্রন্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কর্ম নেই, মা বাবা ভাই-বোনদের মুখে অন্ন তুলে দেবার ক্ষমতা নেই, তুচ্ছ তাচ্ছিলতার আগ্রাসনে যুব সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করে ৭১-এ যুব সমাজের দেশ প্রেমের অংশ গ্রহণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এখন যৌবন যার যুদ্ধে যারার সময় তার, কি করবে ভাবতে প্রতিদিন সন্ধ্যা হয়। ভাবনা শেষ হয় না। হবারও না, মা বাবার বকুনী ঘরে বিবাহগযোগ্য বোন অথবা স্কুল কলেজগামী ভাইবোনের লেখা পড়া কাপড় চোপড় না দেবার বদৌলতে ব্যাকুট হোম। সিদ্ধান্ত আসে বন্ধু মহল থেকে অতি গোপনে। এটি বড় কষ্টের। বিদেশ চলে যাও। এদেশে তোমার আমার কিছু হবে না।পদ্ম-মেঘনা-যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। যমুনা ভাঙ্গনে বাড়ী ঘর গাছ পালা তলিয়ে গেছে। তাই ঠিকানাও নেই। বিদেশ যেতে হলে দৌড়-ঝাপ। ছুটাছুটি সন্ধান পেলেও সিকিভাগ সফলতা। বাকীটা ভিটে মাটি বিত্রি“ করে আত্মহত্যা অথবা বৈরাগ্য জীবন যাপনের জন্য রামগড়ের রাস্তা পরিস্কার। চোখের দেখা অনেক গৌবর গনেশ গ্রামের পাতি নেতা আবুবক্কর রবিন ছিদ্দিক ওরফে বিল্লাল মুন্সির ছেলে-বোয়া ট্রাভেল এজেন্সী ওয়ালারা শত-শত কয়েক কুড়ি বেকার যুবককে যুদ্ধ বিগ্রহনের আগুনে ঢেলে দিয়ে এসেছে মালশিয়া যাওয়ার চোরা পথে। অসহায় যুবকগুলোর কোন হদিস নেই। স্বজনদের আহজারি আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। কেউ বলছে অনেকে মারা গিয়েছে নদী পথে শ্রমিক প্রেরণ কালে। সারাদেশের এমন আবুবক্কর ছিদ্দিক রবিন নামের পাতি দালালদের কোমরে রশি বেঁধে তাদের বিরুদ্ধে “ ছি-ছি” আন্দোলন শুরু হলে দৃর্নীতির একটা মূল তাগিদ সমাজ থেকে উৎপাটিত হবে। জানিনা এমন হবে কিনা। দেশের বড়-বড় নেতা আজ নিজেদের পকেট ভারি করছে যুব সমাজের জন্য কিছুই না। দুভাগ্যবশত এই সুন্দর সবার মধ্যে জাগে নাই। ভাগ-বাটোয়ারা করে তুমিও খাও,আমিও খাই। নিম্ন থেতলিয়ে যাচ্ছে একেবারে আমের ছোবরার ন্যায়। খেতে না পারলে যুব সমাজ করবেটা কি, না যেতে তখনই তাদের বদনাম হয়। অথচ ৭১র আগে তাদের সমাদর অনেক ছিল। এরা “আল্লা মেঘ দে পানি দে”ছায়া দের আল্লা ধ্বনিতে আল্লাহর কাছে খরা থেকে পরিত্রান পেতে পানি চেয়েছে। এরা ৭১র উত্তাল দিন গুলোতে কোটি স্মরণর্থীর সাহয্যে এগিয়ে অেিসছে। তাদের দৃঢ মনে বলের কারণেই সুসজ্জিত এবং এশিয়ার সবচেয়ে ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাক বাহিনীকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছে। যুব সমাজের একটা অশা ছিল, এরা দেশের জন্য কিছু একটা করবে, দেশ উপকৃত হবে। ৪৩ বছর তা হয়নি, যুব সমাজ সবার আগে অবহেলিত। চাকুরী নেই তাতে কি হয়েছে। যুব সমাজ উন্নয়ন তথা কর্মসংস্তানের মত বাংলাদেশে প্রচুর সম্ভাবনা বিরাজমান। এক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা। দেশের প্রধান সমস্যা বেকার কর্মসংস্তান গ্রাম ওয়ারী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যুব সমাজকে বিদেশের পথে পা বাড়াতে হবে না, প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিতে ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুও কোলে ঢলে পড়তে হবে না। বেকারের অভিশাপে নিজের জীবন বিপন্ন করার প্রতিযোগিতা চলছে মহাসমারোহে। মরণব্যাধি নেশা পান করে যুব সমাজ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এমনও দেখছি মেধাবী ছাত্র বিশ্ববিদ্যায়ের পাঠ চুকিয়ে বেকার। শেষ অবধি নেশায় বুদ হয়ে নিজেকে লুকাতে ব্যর্থ চেষ্টা। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ারর হাজারো কিসসা কাহিনী রবীন্দ্রথের এই গানে: ।“মম দুঃখের সাধন যাব কবিনু নিবেদন / তব চরন তলে / শুভ লগন চলে / প্রেমের অভিশেক কেন হল না তব / নয়ন জলে / মনে হয়েছিল দেখেছিনু করুনা তব / আঁখি নিমিষে গেল সে ভেসে। কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। কোন চেতনা চলছে কোনটা চলবে। নেকড়ে থেকে চিতার আবির্ভাব কিনা তাও ইদানিং ভাবিয়ে তুলছে আমাকে। আমার মত অনেককে।
Discussion about this post