কুয়েত আলোর ঝলকানী আর নানা আয়োজনে পালিত হলো স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস ২০১৫ আল আমিন রানা ঃ কুয়েত স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আলোর ঝলকানী আর নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করে দু’টি দিবস, আর মেতে উঠে স্থায়ী বাসিন্দারা আনন্দে। কুয়েত স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৬১ সনের ১৯ জুন মরহুম শেখ আব্দুল্লাহ আল-সালেম আল-সাবাহ সময়ে। ১৭৮১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের তেল সমৃদ্ধ একটি ছোট্র রাষ্ট্্র কুয়েত। উত্তরে ২৮.৩০ অক্ষাংশ ও পূর্বে ৮৬.৩০দ্রাঘিমাংশে অবিস্থত এদেশটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ইরাক, দক্ষিণ ও দক্ষিণে পশ্চিমে সৌদী আরব এবং পূর্বে আরব উপসাগর বেষ্টিত। শেখ জাবির আহমদ জাবের আস-সাবাহ তার শাসনামলে ১৯৯০ সালের ২ আগষ্ট ইরাক কুয়েত আত্র“মণ করে কুয়েতকে ইরাকের তেরতম প্রদেশ ঘোষণা করা হয় এবং আযীয সালেহ আন্ নুমানকে প্রদেশিক গভর্নর মনোনীত করা হয়। তবে জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এবং কুয়েত ছেড়ে যাওয়ার জন্য ইরাকের উপর চাপপ্রয়োগ করতে থাকে। ইরাকের এই আগ্রাসন ৭ মাস ব্যপ্ত হয়। জাতিসংঘের নেতৃত্বে বাংলাদেশসহ ৩২টি রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং সৌদীভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে এ আগ্রাসনের সমাপ্তি ঘটে ২৬ ফের্রুয়ারি ১৯৯১। আরেকবার স্বাধীন হয় কুয়েত। আমরা আগেই জেনেছি কুয়েতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় ১৯৬১ সনের ১৯ জুন মরহুম শেখ আব্দুল্লাহ আল-সালেম আল-সাবাহর সময়ে। যিনি ১৯৫০ সনে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন এবং তাঁর মসনরদ আরোহণ করার দিনটি ছিল ২৫শে ফের্রুয়ারি। পরবর্তীতে এ দুটি স্মরণীয় দিনকে একসাথে উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর ২৫শে ফের্রুয়ারি কুয়েত তার জাতীয় দিবস এবং ২৬শে ফের্রুয়ারি মুক্তি দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে শেখ সাবাহ আহমেদ আল-সাবার গতিশীল নেতেৃত্বে এগিয়ে চলছে কুয়েত। শেখ সাবাহ আহমেদ আল-সাবাহ ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়েতের ক্ষমতা গ্রহন করেন। তারঁই গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে এশিয়ার পেট্রোল সমৃদ্ধ ছোট্র এ মুসলিম দেশটি বিশ্ব সংসারে কুয়েত এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রতিবছর ২৫শে ফের্রুয়ারী কুয়েত তার জাতীয় দিবস এবং ২৬ শে ফের্রুয়ারী মুক্তি দিবস পালন করে আসছে।
Discussion about this post