প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন হুমকি দিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই) এর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নির্বাচন করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তাকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, তা না হলে বিএনপি আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
আজ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আইএসআই’র ফাণ্ড সম্পর্কে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সংক্রান্ত খবর কেবল ভিত্তিহীনই নয়, ষড়যন্ত্রমূলকও বটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, দয়া করে, এই রকম মিথ্যাচারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে জনগণের কাছে মা চান, নইলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও দৈনিক প্রথম আলো বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রকম তথ্য ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকাগুলোর উচিত জেনে-শুনে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করা। এ রকম ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাধারণ মানুষের পত্রিকার ওপর আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাকিস্তানের তৎকালীন আইএসআই-মহাপরিচালক আসাদ দুররানি বাংলাদেশের দুটি পত্রিকাকে (নয়া দিগন্ত ও হলিডে) বলেছেন, বিএনপি বা বাংলাদেশ সম্পর্কে সেদিন আদালতে কোনো কথা হয়নি। এ ব্যাপারে যা কিছু বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা ও অপপ্রচার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ১০ মার্চ এক অনুষ্ঠানে বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ মার্চ জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়।
অবশ্য বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে, আইএসআই’র অর্থ নেয়ার বিষয়ে ওই খবর সঠিক নয়। দুররানিও শুনানিতে বিএনপি সম্পর্কে কিছু বলেননি।
নয়া পল্টনে বিএনপির মহানগর কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, নেতারা বার বার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমরা বারবার এই অভিযোগ খণ্ডন করলেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ও সংসদে একই কোরাস গেয়ে যাচ্ছেন।’
অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহসভাপতি সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
Discussion about this post