শেষ এছহান খোকন, কুয়েত ব্যুরো- কুয়েতে গত ৩১শে জানুয়ারী বাংলাদেশ- কুয়েত জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যবসায়ী সমিতির ৮০ ভাগ সদস্যরা এক প্রতিবাদ সভা করেন। উল্লেখ্য যে গত ২৯ শে জানুয়ারী কুয়েতের গুলশান হোটেলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কমিটি সমিতির ব্যানারে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সংগঠনের গঠনতন্ত্র বহিভূত একটি আলোচনা সভা করেন। বর্তমান কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মো. মিরান মিয়া সভাপতিত্বে এবং আবু সাঈদ চৌধুরী সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ ব্যপারি, সহ সভাপতি আব্দুল আউয়াল , সহ সাধারণ সম্পাদক আবু সাইয়িদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান, আবদুস সামাদ, মেখ ফজলুল করিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, শাহআলম, মোহাম্মদ মকবুল হোসেন, মহসিন বিশ্বাস, মোহ. জাহাঙ্গির আলম, বেলাল উদ্দিন, সুমন তাজুল ইসলাম হাফিজুর রহমান, এল এম সায়িদ, মো. মাসুদ রানা, ইমরান সিকদার, সহিদুল ইসলাম, মাহবুব আলম সহ অনেকে। সদস্যরা পূর্বের ৭১ জন সদস্য বিশিষ্ট এই সমিতির একটি কমিটি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত না করায় এবং সংগঠনের সাবেক সভাপতির গাফিলতিতে গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ- কুয়েত জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যবসায়ী সমিতিকে সঠিক ভাবে বেগবান না করার ব্যর্থতায় উক্ত কমিটিকে বিলুপ্ত করে আব্দুল কাদের কে আহ্বায়ক ও ইকবাল সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যা দীর্ঘ ৪ বছর ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ৪ বছর পরে সংগঠনের সদস্যগন আলোচনার মাধ্যমে পূর্বের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে আরেকটি নুতন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যা গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী সীমাবদ্ধ। কিন্তু গত ২৯ শে জানুয়ারী শাহজামাল খন্দকারের সভাপতিত্বে এস এম আনোয়ার কে সাধারন সম্পাদক, শিকদার বাচ্চু কে প্রধান অতিথি, চুন্নু মোল্লাকে বিশেষ অতিথি করে যে আলোচনা সভা করা হয় তাহা সংগঠনের জন্য আঘাত বলে প্রতিবাদ জানান গঠনতন্ত্রের পক্ষে ৮০ ভাগ সদস্যরা, সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল বলেন একটি সংগঠনের মুল বিষয় সংগঠনের গঠনতন্ত্র এবং সদস্যগন সঠিক নেতৃতের আশাবাদী। কিন্তু দুখের সহিত বলতে হয় সাবেক সভাপতি শাহ জামান খন্দকার একজন অসাধু ব্যক্তি যা বাংলাদেশ দূতাবাস অবগত আছেন। অনুষ্ঠান বা সভা যে কেউ করতে পারে কিন্তু ব্যক্তিসার্থের জন্য কোন অবস্থায় অনৈতিক ভাবে বা অনিয়মে সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করা অযুক্তিক, কাজেই জামাল খন্দকার গং যারা সংগঠনের ব্যানার লাগিয়ে আলোচনা সভা করেছেন তারা গঠনতন্ত্রকে অবমাননা করেছেন বলে তীব্র প্রতিবাদ করেন। সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তার প্রতিবাদে বলেন তাদের উপস্থিতিতে একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা হয়ে ছিল সেখানে উল্লেখ্য যে আহবায়ক কমিটি নির্বচনের মাধ্যমে পুনাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করবে। যেহেতু নির্বাচন হলে এই স্বার্থানের্ষী মহল এর নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবেন, তাই আগেভাগে নিজেদের স্বার্থ চরিত্রার্থ করতেই এহন অনিয়মের পথ বেছে নিয়েছেন তাদের এহেন কার্যকলাপকে ধিক্কার জানান।
বক্তারা দাবি করেন ৮০ ভাগ সদস্যরা তাদের এই প্রতিবাদ কে সমর্থন করেছেন। সংগঠনের মুল গঠনতন্ত্র বহিভূত কাজ করে নিজেদের চরিত্র প্রকাশ করেছেন। সেহেতু শাহ জামাল- চুন্নু কে সাংগঠনিক ভাাবেই মোবাবেলা করার কথা ব্যক্ত করেন এই প্রতিবাদ সভায়। তারা খুব শীঘ্রই একটি পূনাঙ্গ কমিটি তৈরী করা হবে যা হবে সংগঠন বান্ধব ও সদস্য বান্ধব বক্ত্যারা সকল সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন কোন অবস্থাতেই স্বার্থানেষী মহলকে সুযোগ দেওয়া যাবে না তবে আমাদের রপ্তানী বানিজ্যে এবং সংগঠনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা দরকার। কাজেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসকল ব্যক্তিদের প্রতিহত করার আহবান জানান।
Discussion about this post