মঈন উদ্দিন সরকার সুমন: কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ২৯ জানুয়ারী থেকে ২২ ফেব্রুয়ারী পযন্ত কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারী থেকে ২২ ফেব্রুয়ারী পযন্ত মোট পচিঁশ দিন এর মধ্যে কার্য দিবস ১৯ দিন আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন কুয়েতে অবৈধ ভাবে বসবাসরত প্রবাসীরা। জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ অথবা জরিমানা দিয়ে বৈধ হওয়ার সুযোগটি দিয়েছে কুয়েত সরকার।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর শ্রম জনাব আবদুল লতিফ খান ঐদিন দুপর একটা নাগাদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ কর্মীদের বলেন, দেশের সুনাম রক্ষার্থে যারা বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে কুয়েতে আছেন তাদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগটি গ্রহন করে বৈধ হওয়ার আহবান করেন। এই বিষয়ে দূতাবাস কর্তৃক সর্বাত্বক সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।
তথ্যমতে সাধারণ ক্ষমায় বিভিন্ন দেশের ১৩০,০০০ অবৈধ অভিবাসীর বৈধ হওয়া ও দেশ ত্যাগের সুযোগ পাবেন। কতজন বাংলাদেশী তার কোন তথ্য না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে অনুমানিক ২০/২৫ হাজারের মত প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে আছেন।
এতে উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট আইনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা যাদের নেই সে সকল প্রবাসী কারো অনুমতি ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন। যে সকল অবৈধ প্রবাসী কুয়েতে বৈধভাবে অবস্থান করতে ইচ্ছুক তারা অনুমতি প্রদানের শর্তগুলি পূরণ করে জরিমানা আদায় করে কুয়েতে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন। পূর্বে যাদের রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিলো বা এই সময়ে গ্রেফতার করা হবে তাদের অবিলম্বে নির্বাসন করা হবে। এই সুযোগে যারা কুয়েত ত্যাগ করবেন তারা আবার বৈধ ভাবে কুয়েত আসতে কোন বাধা নেই যদি তাদের বিরোদ্ধে কুয়েত প্রবেশে অন্য কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকে।
যদি রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘিত হয় এমন প্রবাসীরগণ এই সময় কালে কুয়েত ছেড়ে না যান আইন অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তি হবে। তাদের আর কোন সময় কুয়েতে বাসস্থান পারমিট প্রাপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে না, এবং কুয়েতে আসতে অনুমতি দেওয়া হবে না। জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগের এই সুযোগটি সর্বশেষ ২০১১ সালে দেয়া হয়েছিলো। সেই সুযোগ আবার দেয়া হয়েছে এতে জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ অথবা দৈনিক দুই দিনার করে সর্বোচ্চ ৬০০ দিনার দিয়ে বৈধ ভাবে কুয়েতে থাকা যাবে।
সাধারণ ক্ষমা সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য ও সেই সঙ্গে আউট পাশের জন্য দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিতির জন্য পাসপোর্ট ফটো কপি, সিভিল আইডি কপি, জন্ম সনদ, অথবা দেশে স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সনদপত্র নিয়ে সরাসরি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগের প্রথম সচিব জনাব জহুরুল হক খান এর সাথে কথা বললে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন কে জানান, যে সকল প্রবাসীদের পাসপোর্ট নেই তাদের পুরনো পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে আহ্বান জানান।
এই বিষয়ে বিশেষ কোন সেবা প্রদান করবেন কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বেশী চাপ পরলে প্রয়োজনে বন্ধের দিন গুলোতে অফিস খোলা রাখবেন। দূতাবাস প্রবাসীদের স্বার্থে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
Discussion about this post