এমডি রিয়াজ হোসেন,বেলজিয়াম(ব্রাসেলস্) থেকেঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মাধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাওয়া, সন্ত্রাস নির্মূল, দারিদ্র বিমোচন, আর্ত সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন অর্থনৈতিক মুক্তি ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ধারাবাহিক অভূতপূর্ব সাফল্যকথা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবার নিমিত্বে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে কনফারেন্সের আয়োজন করে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ‘এম ই পি’ ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘মি: রিচার্ড কর্বেটের’ সভাপতিত্বে এবং কনফারেন্সের আয়োজকদের সমন্বয়ক, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের সঞ্চালনায় এতে পেনেলিস্ট ও বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মি সাজ্জাদ করিম,এম ই পি, বেলজিয়াম, ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদত হোসেন, বাংলাদেশের বন্ধু, দক্ষিণ এশীয়ান ডেমোক্রেটিক ফোরামের পরিচালক ও সাবেক পর্তুগিজ এম ই পি, মি. ‘পাওলো কসাকা’ সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাস গুপ্ত,সাধারণ সম্পাদক এম এ গনি, সম্মেলনের উদ্যোক্তা ও সমন্বয়ক ও সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক
খোকন শরীফ।
সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের উক্ত সম্মেলনে আসা ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের উদ্যোক্তা ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের আরো অধিক সহযোগীতার আহব্বান জানান এবং এই সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন।
সম্মেলনের সভাপতি ‘মি: রিচার্ড কর্বেট’ তার মূল বক্তব্যের পূর্বে সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান, এর পর তিনি তার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। তিনি বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন, এবং এই উন্নয়ন যাত্রাকে ধরে রাখার জন্য সবাইকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালনের উপর জোড় দেন। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন সচ্চ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা সচেষ্ট থাকবেন এবং এজন্য সার্ভিক ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গাদের এই সমস্যা জিইয়ে রাখা সম্ভব না। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও এখানে বেড়ে উঠতে দেয়া যায় না। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।
তিন পর্বের সম্মেলনের, দ্বিতীয় পর্বে বক্তব্য রাখেন ইউ কে, লেভার পার্টি থেকে নির্বাচিত এম ই পি সাজ্জাদ করিম। তার দীর্ঘ বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রশংসার করেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকের প্রশংসনীয় উর্ধ্বস্থানের তুলনা মূলক ব্যাখ্যা করেন। এবং বলেন বাংলাদেশ এশিয়া ও ক্ষেত্রভেদে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি ই ইউ সহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাকে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাতকে আরো প্রসারিত করার আহব্বান জানান।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ণের বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরার পাশাপাশি ই ইউ সহ সকল উন্নয়ন সহযোগীকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে থাকার অনুরোধ জানান।
সম্মেলনের সমন্বয়ক এম এম মোর্শেদ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আজকের এই উন্নয়ন মূল চাবী হিসাবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। গত দশ বৎসর যাবৎ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। তিনি বলেন আগামীতে এদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাড় করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের ধারাবাহিকতা ও যে জরুরি এদিকে সকল উন্নয়ন সহযোগীদের গুরুত্ব দেয়া জরুরী।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নাদিয়া, ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
উক্ত সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন আই সির পক্ষ থেকে নিযুক্ত ই ইউ রাষ্ট্রদূত, মিসেস ইসমত জাহান। বাসুগ সভাপতি বাবু বিকাশ বড়ুয়া, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি আহম্মেদ আনছার উল্লাহ,সাংবাদিক রিয়াজ হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেত্রী বৃন্দ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে তথা ফ্রাঞ্চ, জার্মানী, হল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন, ইউ কে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ইটালী, সুইজারল্যান্ড
সহ ইউরোপ ও বাংলাদেশ থেকে আগত আওমী লীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী। এছাড়া বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ যুবলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্র লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঘঠনের বিপুল পরিমাণ নেতা কর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
সবশেষে ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত প্রশ্ন উত্তর পর্ব এতে সবার প্রশ্নের উত্তর দেন রিচার্ড করবেট।
Discussion about this post