সামাজিক পরিবর্তনের দিকে আর এক ধাপ এগোলো সৌদি আরব। মহিলাদের গাড়ি চালাতে দেওয়া এবং তাদের কনসার্টে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরে এখন নারীদের সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করার অনুমতি দেবে সৌদি আরব ।
সৌদি মহিলারা এখন রয়েল আর্মি, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী মেডিকেল সার্ভিসে যোগ দিতে পারবেন।
কয়েক দশক ধরে আপোষহীন ধর্মীয় পুলিশদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণে কাটানো একটি দেশের পক্ষে এটি একটি সঠিক এবং বড় পদক্ষেপ। সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, পুরুষ ও মহিলা উভয়েই এখন থেকে ভর্তির পরীক্ষার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতে সমান পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এর আওতায় সেনা, ল্যান্স কর্পোরাল এবং সার্জেন্ট হিসাবেও মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৪০ এর মধ্যে হতে হবে এবং উচ্চতা ১৫৫ সেন্টিমিটার হতে হবে। তবে যোগ্যতা হিসেবে তাদের অবশ্যই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা থাকতে হবে এবং সৌদি আরবের বাইরের কোনো পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করা যাবে না।
এই পদক্ষেপটি সৌদি আরবের রাজপুত্র মহম্মদ বিন সালমানের ২০৩০ সালের লক্ষ্যপূরণ উদ্যোগের অংশ যেখানে মহিলাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে, সৌদি আরব মহিলাদের আরও বেশি চাকরি করার অনুমতি দিয়ে আইন আরও শিথিল করার পরিকল্পনা করেছে বলেও জানা গেছে ।প্রসঙ্গত, সৌদি রক্ষণশীলরা এই ধরনের সংস্কারে সম্মত কিনা তা নির্ধারণ করা শক্ত। তবে সৌদি আরব যখন প্রগতিশীল সংস্কার গ্রহণ করেছে, তখন ইরান অন্য দিকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই একটি ফতোয়া জারি করেছেন যে কার্টুনে থাকা মহিলাদের অবশ্যই হিজাব পড়া অবস্থায় চিত্রিত করতে হবে।
Discussion about this post