ভ্যাকসিন দিয়ে কুয়েত প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফিরতে সহযোগিতা করার অনুরোধে
মানববন্ধন করেছে দেশে আটকে পড়া কুয়েতগামী প্রবাসীরা। কুয়েতগামী কর্মীদের কর্মস্থলে ফিরতে হলে দেশটির অনুমোদিত ভ্যাকসিন দিয়েই যেতে হবে। আর কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন গুলো হলো হচ্ছে, ফাইজার, অক্সফোর্ড, মোর্দানা ও জনসন্জনসন। এর মধ্য বাংলাদেশে শুধু “ফাইজার” ভ্যাকসিন রয়েছে এবং তা ৪০ উর্ধ্ব বয়সীদের জন্য। এমনকি (এনআইডি) কার্ড ছাড়া ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করা যাচ্ছেনা। এতে কুয়েতগামী অপেক্ষমান প্রবাসী কর্মীরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। অবিলম্বে কুয়েত গমনেচ্ছু আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেশটির কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার কুয়েতগামী প্রবাসী কর্মী চাকরি হারিয়ে পথে বসবে। ভ্যাকসিন দিয়ে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীদের কর্মস্থলে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা এসব কথা বলেন। প্রবাসীরা বলেন, অনেক প্রবাসীর (এনআইডি) নেই তাহলে করনীয় কি বা কি ভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে কুয়েতে ফিরতে পারে তার জন্য দ্রুত প্রয়োজন ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা বলেন, বর্তমানে দেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীরা দূরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এবং চলার পথে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ থেকে রেহাই পেতে কুয়েত সরকার অনুমোদিত ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করে আমাদেরকে কুয়েত ফিরতে প্রস্তুত রাখা হোক। কুয়েতে ফ্লাইট চালু হওয়া মাত্রই আমরা যেনো আবার কুয়েতে আমাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারি। প্রবাসী কর্মীরা বলেন, বৈধ ইকামাধারী প্রবাসী কর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদানে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের কর্মস্থল কুয়েত ফেরার সুযোগ করে দেয়ার দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। করোনা মহামারির মাঝে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। একদিকে কড়াকড়ি নিয়ম অন্য দিকে দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের দু:র্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বিগত ১৬ মাসে কুয়েত ফিরতে পারেনি অনেকেই। এসব কর্মীদের আবার ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আর কুয়েত ফেরা হবেনা তাদের। তারা কুয়েতের শ্রমবাজার ধরে রাখতে অনতিবিলম্বে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান।
Discussion about this post