বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে আয়োজিত ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী এন্ড্রু মিচেল সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে ও প্রচার মাধ্যমগুলো পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বৈঠকে শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেসসচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন করে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক আলোচনার প্রসঙ্গের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি শক্তিশালী ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও ম্যানিপুলেট বন্ধ করার জন্য ইভিএম চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ভবিষ্যতে সকল নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। বৈঠকে শেখ হাসিনা কৃষি ক্ষেত্রে, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্য খাতে তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরে।
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান এবং অনুপাতের দিক থেকে ছাত্র ও ছাত্রীদের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরেপড়া রোধ ও ভর্তির হার বাড়াতে স্কুল-ফিডিং কর্মসূচির জন্য স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় একটি তহবিল সৃষ্টির দিক-নির্দেশনা প্রণয়ন করছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ১১ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছেন। সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, অবকাঠামো, মৎস্য, পরিবহন, গ্যাস, ক্ষুদ্র ব্যবসায়, সুশাসন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যাহত সহায়তার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ডিএফআইডি জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক ব্যবসায় ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মতো খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ব্রিটিশ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্রিটিশ সরকারের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনে ক্রমবিকাশমান রন্ধন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ শ্রমিক নিতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
Discussion about this post