কুয়েতে মধ্যম আয়ের প্রবাসীদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করতে বেতন সনদ লাগবে ৮০০ কুয়েতি দিনার, এতে হতাশাগ্রস্থ প্রবাসীরা। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করার অনুরোধ কুয়েত সরকারের প্রতি প্রবাসীদের। স্বপ্ন পুরোনের জন্য দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া অনেক প্রবাসীর এখন নিজের দেশে ফিরে যাওয়াটাও একটি স্বপ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। কথায় আছে স্বপ্ন যখন আকাশের সমান, বাস্তবতা তখন বিমান মতো। কুয়েত প্রবাসীদের বেলায় এমনটা হতে যাচ্ছে। কুয়েতে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী আছে। এদের মধ্যে মধ্যম আয়ের প্রবাসীর সংখ্যাও কম নয়। অনেক প্রবাসী কর্মস্থলে সততা আর দক্ষতায় ভাল স্থান অর্জন করে নিয়েছেন, তেমনি অনেক প্রবাসী নিজ দক্ষতা আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছেন। কর্মস্থলের বিশেষ দায়িত্বে থাকা অনেক প্রবাসী যেমন প্রতি বছর ছুটিতে দেশে যেতে পারেন না তেমনি অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী একক মালিক হওয়াতে ব্যবসা ছেড়ে সহজে দেশে যেতে পারেন না। কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের এমন অনেক প্রবাসীরা অপেক্ষায় ছিল কুয়েতে ফ্যামিলি ভিসার জন্য বেতন ৫০০ কুয়েতি দিনার থেকে কমিয়ে নতুন আইন পাস করবে কুয়েত সরকার। তা হলে প্রবাসীদের স্ত্রী সন্তান অথবা বাবা মাকে কুয়েতে নিজের কাছে রাখবেন বা ভ্রমন করাবেন। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রবাসীদের ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করতে বেতন সনদ ৫০০ কুয়েতি দিনার থেকে বাড়িয়ে শুধুমাত্র বেতন সনদ লাগবে ৮০০ কুয়েতি দিনার, কুয়েত সরকারের এমন পরিকল্পনায় হতাশাগ্রস্থ প্রবাসীরা।
দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মনে করেন নতুন নিয়মে উচ্চ আয়ের প্রবাসীরা তাদের পরিবার নিয়ে কুয়েতে থাকলে জীবনযাত্রার মান সন্তোষজনক হবে। এবং তাদের স্ত্রীরা স্থানীয় বাজারে চাকরি খোঁজার উপর নির্ভর থাকবে না।মুলত অনেক দেশের মধ্যম আয়ের প্রবাসী তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা কুয়েতে চাকুরী করেন। কুয়েতে ভ্রমনে আসা বা পারিবারিক ভিসায় আসা প্রবাসীদের জনশক্তি হিসেবে গননা করতে চান না কুয়েত সরকার। কুয়েতে প্রবাসীদের ফ্যামিলি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবে কুয়েত সরকার এমনটাই আশা মধ্যম আয়ের প্রবাসীদের।
Discussion about this post